ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

ইসি গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের প্রস্তাব ওয়ার্কাস পার্টির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১  
ইসি গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের প্রস্তাব ওয়ার্কাস পার্টির

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে এ প্রস্তাব দেন দলটির নেতারা। তারা মোট ছয়টি প্রস্তাব দেন।

সংলাপে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। প্রতিনিধিদলে ছিলেন—পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান ও নজরুল ইসলাম হক্কানী।

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেছেন, ‘আইনমন্ত্রী বলছেন, আইন প্রণয়নের যথেষ্ট সময় নেই। তবে, পার্লামেন্টেই উদাহরণ আছে যে, এর চেয়েও কম সময়ে আইন প্রণয়ন কেবল নয়, সংবিধানও সংশোধন হয়েছে। যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো, সংবিধানকে অনুসরণ করা। যদি একান্তই আইন প্রণয়ন না করা হয়, তাহলে সার্চ কমিটির দেওয়া নামগুলো সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের পর রাষ্ট্রপতিকে পাঠাতে হবে। তিনি সেই তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন।’

ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

ওয়ার্কাস পার্টির ছয় প্রস্তাব:
১. নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাই, এর প্রতি মান্যতা ও মর্যাদা থাকতে হবে, যাতে করে নির্বাচন পরিচালনা, তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করতে পারে।

২. সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নে আইনের বিধানা অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আইন তৈরি করতে হবে। জাতীয় সংসদের নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই এ আইন উত্থাপন করে জরুরি ভিত্তিতে তা পাস করা যেতে পারে।

৩. আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল থাকবে। এ কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করবে। রাষ্ট্রপতি তাদের পরামর্শমতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ করবেন।

৪. যদি আইন প্রণয়ন একান্তই সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প হিসেবে যে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের নিয়ে তা গঠন করা যেতে পারে। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতি পদে চারজনের নাম প্রস্তাব করবেন। সার্চ কমিটির দেওয়া নামের তালিকা সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটি বাছাই করে সেখান থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবে। রাষ্ট্রপতি ওই তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ দেবেন।

৫. নির্বাচন কমিশনের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুজন নারী সদস্য থাকবেন।

৬. নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী আইনগুলোর যথাযোগ্য প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়