ঢাকা     শনিবার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩১

অগ্নিকাণ্ডে নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ১ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৯:২২, ১ মার্চ ২০২৪
অগ্নিকাণ্ডে নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত এক নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তাই, লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। 

শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওই নারী সাংবাদিকের মরদেহ নিতে আসেন শাবলুল আলম সবুজ নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে ওই সাংবাদিকের বাবা বলে দাবি করছেন। শাবলুল আলম ও তার স্ত্রী বিউটি বেগম ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কিন্তু, সাংবাদিকের জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) থেকে জানা গেছে, তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তার মা-বাবার নামও ভিন্ন।

নিহত ওই নারী সাংবাদিকের আসল নাম মোছা. বৃষ্টি আক্তার বলে দাবি করেছেন শাবলুল আলম সবুজ। তিনি বলেছেন, বৃষ্টি আমার মেয়ে। সে আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই সাংবাদিকের প্রাতিষ্ঠানিক সনদপত্রে নাম রয়েছে মোছা. বৃষ্টি আক্তার। কিন্তু, তার কর্মস্থল দ্য রিপোর্টে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে নাম রয়েছে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।

জীবনবৃত্তান্ত ঘেঁটে দেখা গেছে, সেখানে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবার নাম অভিরূপ শাস্ত্রী এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী। বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন—সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির।

রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেছেন, অভিশ্রুতির সঙ্গে আট মাস ধরে আমাদের পরিচয়। এই আট মাস ধরে সে আমাদের মন্দিরের সঙ্গে অনেকটাই কানেক্টেড। যে ভদ্রলোক (সবুজ) অভিশ্রুতিকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করছেন, তিনি মিথ্যা বলছেন। অভিশ্রুতির পরিবারের সবাই ভারতের বানারসে থাকেন।

এদিকে, গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদক গোলাম রব্বানী বলেছেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের হাতে থাকা লাল সুতা (মৌলি সুতা) দেখে অভিশ্রুতিকে শনাক্ত করি। অভিশ্রুতির পরিবারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ, আমাদের কাছে থাকা তার পরিবারের একমাত্র নম্বরটি বন্ধ আছে।

গোলাম রব্বানী আরও বলেন, ইডেন মহিলা কলেজের রাজিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অভিশ্রুতি। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। অভিশ্রুতির বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মর্গে এক হিন্দু নারীর মরদেহ আছে।

রায়হান/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়