ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩২

‘বাজেটে প্রস্তাবিত তামাক কর জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক নয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ৮ জুন ২০২৪  
‘বাজেটে প্রস্তাবিত তামাক কর জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক নয়’

ফাইল ফটো

প্রস্তাবিত তামাক কর তরুণদের ধূমপান ও তামাকপণ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমাতে সহায়ক হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং।

শনিবার (৮ জুন) সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক কৌশলের মধ্যে বিশ্বস্বীকৃত অন্যতম পদ্ধতি হলো—তরুণদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে তামাকপণ্যের দাম নিয়ে যাওয়া। তরুণসমাজকে তামাকের নেশার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে তামাক কর যুগোপযোগী করতে হবে। 

বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশই তরুণ-তরুণী। তামাক কোম্পানির মূল টার্গেট এই তরুণ জনগোষ্ঠী। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উচিত, তামাকের ছোঁবল থেকে তরুণদের সুরক্ষা দেওয়া। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা বলেন, তামাকে আসক্ত অসুস্থ প্রজন্ম দেশের অগ্রগতির হাতিয়ার না হয়ে বরং সমাজ ও অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। তাই, জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাকজত দ্রব্যের ওপর কর বাড়াতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত যুবকদের অকালমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে বিড়িসহ সকল তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধি। এই কর বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করবে, যা বর্তমান কর রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি। 

সংগঠনটির প্রোগ্রাম অফিসার খাদিজাতুল কুবরা সিমা বলেন, অল্প বয়সে ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং ধূমপান চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি অন্যান্য নেশার দিকে ঝুকে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রবল থাকে। 

তিনি জানান, সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৫০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৪৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৮ শতাংশ ছিল। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর গত বছরের চেয়ে ৩ টাকা বাড়িয়ে ৭০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১১৩ টাকা থেকে ১২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতিউচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা ও তদূর্ধ্ব নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই তিন স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এবার (২০২৪-২৫) ৬৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খাদ্যসহ অনেক নিত্যপণ্যের মূল্য ২০২১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৪০ শতাংশ থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ, প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকজাতদ্রব্যের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪.৪৮ শতাংশ থেকে ১১.১১ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে, নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য আরো সস্তা হয়ে পড়বে।

আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় রেখে তামাকজতদ্রব্যের কর বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।

হাসান/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়