খুব ভালো হতো॥ টোকন ঠাকুর
টোকন ঠাকুর || রাইজিংবিডি.কম
অলংকরণ : অপূর্ব খন্দকার
মনে করো সেই পার্বত্য কবিতাটি আমি বাংলায় লিখছি…
পাহাড়ি মেয়েটি ঝরনার পাশে বসে খুব ভয়ে ভয়ে কাঁদছে। উপত্যকার যৌবন আর্তনাদে আর্তনাদে ফুঁপিয়ে উঠছে। এ সময় মনে হয়, আত্মার অব্যক্ত বিলাপনই মর্মর কবিতা…
কবিতার আগে রচিত হলো ঘটনা। যতদূর মনে পড়ে, ঘটনা সম্ভবত এরকম যে, পাহাড়ি ছেলেটি আলিঙ্গন ছিন্ন করে বলল, ‘যেতে দাও, যাই?’ মেয়েটি বলল, ‘আর একটু উত্তাপ দিয়ে যাও, বুকের, না হয় আজ আর যেও না…’ তবু পাহাড়ি ছেলেটি মেয়েটিকে দীর্ঘ এক চুমু খেয়ে বলল, ‘আসি?’
মেয়েটি কাঁদছে : সে আমাকে রেখে যখন চলে গেল, ঝিরিপথে প্রচুর নুড়ি থাকায় কিছুদূর যেতেই আমি তার পা’র গোড়ালি আর দেখতে পেলাম না। আমি তাকে পেছন থেকে এত করে ডাকলাম, তবু এই ঝরনার শব্দে শব্দে সে আমার ডাক শুনতে পায়নি। কুয়াশাও চায়নি আমি তাকে বহুদূর পর্যন্ত দেখি, তাই আর কিছুদূর যেতেই সে আমার দৃষ্টিসীমানা ডিঙিয়ে গিয়ে পাহাড়ের ওপারে চলে গেল
কিছুক্ষণ পর, উপত্যকায় গুলির শব্দ হলো। ছেলেটি আর ফিরল না। পাহাড়ি মেয়েটি তাই ঝরনার পাশে বসে খুব ভয়ে ভয়ে কাঁদছে যদি ঝরনাজলে ভেসে আসা এই রক্ত তার প্রণয়ের রক্ত না হতো, খুব ভালো হতো, খুব ভালো হতো, খুব ভালো হতো
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুলাই ২০১৪/তাপস রায়/কমল কর্মকার
গদ্য কবিতা