দুদকের চায়ের বিল এক লাখ টাকা: প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
‘‘দুদকের চায়ের বিল এক লাখ টাকা’’ শিরোনামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট আমলে নিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. সেলিমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
শনিবার রাতে দুদকের এক পরিচালকের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কোন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের আইডি কার্ড, বুম ও একাধিক সিমসহ নানা জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘‘সেলিমের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রটি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে আসছিল। উক্ত চক্রটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
দুদক জানায়, দুদকের চায়ের বিল এক লাখ টাকা শিরোনামে ২৪ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। পরবর্তীতে এটি দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হলে সংস্থাটি তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করে।
পরবর্তীতে দুদক হাসানাত আবদুল্লাহর পোস্ট আমলে নিয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মরত একজন পরিচালকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় গত রাতে প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করে চক্রের মূলহোতা সেলিমসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন পিরোজপুর জেলার বাদোখালী এলাকার সাত্তার কবিরের ছেলে মো. সেলিম (৪০), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের কেশরামপুরের মজিবর রহমান শেখের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (৪০), রাজধানী মুগদা দক্ষিণ মান্ডা এলাকার আব্দুল কাশেমের ছেলে মো. আতিক (৩৮) ও নোয়াখালীর সেনবাগের শায়েস্তানগর এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মো. আব্দুল হাই সোহাগ (৩৫)।
দুদক জানায়, তাদের কাছ থেকে সনি ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুইটি পাসপোর্ট, একটি সমকাল পত্রিকার নামে আইডি কার্ড, সমকাল, এশিয়ান টিভি, এফসি টিভিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেক বই, ৬টি মোবাইল সেট, ১৩টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন