ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জাতি কলঙ্কমুক্ত হওয়ার পথে আরেকধাপ এগোলো: আ.লীগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০০, ১১ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাতি কলঙ্কমুক্ত হওয়ার পথে আরেকধাপ এগোলো: আ.লীগ

আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বাঙালি জাতি কলঙ্কমোচনের পথে আরেও একধাপ এগোলো বলে মন্তব্য এসেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে তারা বাকি পলাতক আসামিদেরও দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করেছেন।

শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো। এই মাজেদ শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনি নয়, জেলে চার নেতার হত্যাকারীও। আমি বলেছিলাম, তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করে আরো তথ্য বের করতে। তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নয়, এদের নেপথ্যের খলনায়কদেরও বের করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

একই ধররনের মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন‌্যান্ট কর্নেল মো. ফারুক খান।

রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো- পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আবদুল মাজেদ যে কলঙ্কিত ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তাতে সে কুলাঙ্গার হিসেবে অভিধা পেয়েছে। সবাই তাকে ঘৃণা করে। তার ফাঁসি হওয়ায় বাংলার জনগণের কিছুটা হলেও দায়মোচন হয়েছে।’

ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘পুরো জাতি আজ আনন্দিত। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর এই খুনির ফাঁসির খবরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘মাজেদের রায় কার্যকর করার পর এখন বাকি পলাতক আসামিদের দিকে নজর দিতে হবে। সরকার এরই মধ্যে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা চাই, দ্রুত এসব খুনিদের দেশের মাটিতে এনে ফাঁসি কার্যকর করে জাতির কলঙ্কমোচন করা।’

প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম হত্যাকারী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

এর আগে গত সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আবদুল মাজেদকে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

পরদিন মঙ্গলবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির পর ওইদিনই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন আত্মস্বীকৃত এই খুনি। শুক্রবার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি।

উল্লেখ্য, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে আব্দুল মাজেদসহ ১২ ঘাতক৷


পারভেজ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়