ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ভিসা পলিসি দেখে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২৬ মে ২০২৩  
‘ভিসা পলিসি দেখে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীরা

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, তা দেখে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ভিসা পলিসি দেখে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম। দিনের আরাম হারাম। তারা ভয় পেয়ে গেছে। ফখরুল কথা বলে মুখ লুকিয়ে। মুখ শুকিয়ে গেছে। কারণ, সেখানে যেগুলো নেগেটিভ, সবই তাদের জন্য।’

‘কথায় কথায় আগুন, বাসে আগুন, গাছ কাটে, বিদ্যুতের স্টেশনে আগুন দেয়, ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়, রেললাইন পুড়িয়ে দেয়, হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে মারে—এই অপরাজনীতি, ভিসানীতির মধ্যে এই বিষয়গুলো পড়ে। আমরা তো নির্বাচন করতে চাই। আমরা বাধা দেবো কেন? যারা বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের এই পলিসি কার্যকর হয় কি না, আমরা দেখব।’    

আওয়ামী লীগের সরকারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে কি না, বিএনপি সে আশায় ছিল— এ অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা তাকিয়ে ছিল, নিষেধাজ্ঞা আসবে কবে? শেখ হাসিনার ওপর নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার আশায় কেউ যায় লন্ডনে, কেউ যায় ওয়াশিংটনে। লবিস্ট নিয়োগ করে। ভিসানীতি আসছে, নিষেধাজ্ঞা কই? এখানে তো নিষেধাজ্ঞার কিছু নেই।’

‘আমাদের নির্বাচন আমরা করব। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। আমাদের গণতন্ত্র আমাদের সিস্টেমে চলবে। আমরা কারো ভয়ে ভীত নই। আমরা আমাদের লাখো শহিদের রক্তে রঞ্জিত সংবিধান মেনে চলব। কারো হুমকি-ধমকি, কারো নিষেধাজ্ঞায় কাবু হয়ে মাথা নত করার মানুষ শেখ মুজিবের বেটি নয়। এ কথা যেন সবার মনে থাকে।’

গাজীপুরে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, তেমনই সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন চাই, আমরা বাধা দেবো কেন? সেই পরামর্শ তো আমাদের দেওয়ার দরকার নেই। নির্বাচনে বাধা দেওয়ার দিন শেষ। যারা নির্বাচন চায় না, তত্ত্বাবধায়ক চায়... খালেদা জিয়া বলেছেন, শিশু আর পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ নেই। তত্ত্বাবধায়ক হবে না।’

‘কোনো বিদেশি বন্ধু একবারও আমাদের কাউকে বলেননি যে, তত্ত্বাবধায়ক চায়। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত দাওয়াত করেছিল। তার সঙ্গে আলাপকালে আমি জানতে চেয়েছিলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপনাদের কোনো পরামর্শ আছে কি না? তখন পিটার হাস আমাকে বলেছেন যে, উই ডোন্ট কেয়ার অ্যাবাউট কেয়ারটেকার। আমরা চাই, বাংলাদেশের একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহযোগ্য নির্বাচন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন।’

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিএনপি নেতা প্রতিনিয়ত কিভাবে অনলাইনে বক্তব্য দিচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অর্থপাচারে দণ্ডিত হয়েছে। বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই দণ্ডিত ব্যক্তি তারেক রহমান কী করে প্রতিদিন অনলাইনে রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দিচ্ছে? এর কি কোনো প্রতিকার নেই?’ 

‘আইন কি তারা মানবে না? আদালতের আদেশ কেন মানছে না তারেক? তারা আইন মানে না, আদালত মানে না। নির্বাচনের রেজাল্ট যদি কমিশন বলে দেয়, বিএনপি জিতবে, তাহলে ভালো। নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি তখনই তারা পাবে, যখন নির্বাচন কমিশন বলবে, বিএনপিই জিতবে। বিএনপিকে জেতার গ্যারান্টি মানে নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই নিরপেক্ষ নির্বাচন আমরা চাই না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

পারভেজ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়