ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘দুর্নীতিবাজ দিয়ে চোর-ডাকাতমুক্ত দেশ গঠন সম্ভব নয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
‘দুর্নীতিবাজ দিয়ে চোর-ডাকাতমুক্ত দেশ গঠন সম্ভব নয়’

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (ফাইল ফটো)

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মুহাম্মদ (সা.) রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। এখনও নবী মুহাম্মদের (সা.) ওয়ারিশ ওলামায়ে কেরামকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হবে। ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দিতে হবে ওলামাদের। যার মা‌ঝে ইনসাফ নেই, যে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষক, জালিম; সেই ব্যক্তি কীভাবে ইনসাফভিত্তিক সমাজ উপহার দেবে? কাজেই জালিম ও চোর-ডাকাতদের দি‌য়ে ডাকাতমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব নয়।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় হোয়াইট হলে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উত্তরা পশ্চিম থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিকা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, শায়খুল হাদিস মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, শায়খ সাদনাউল্লাহ আজহারী, মুফতি মোহাম্মাদুল্লাহ আনসারী, মুফতি মফিজুর রহমান, মাওলানা গাজী আব্দুল জব্বার, আলহাজ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ব‌লেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য ওলামায়ে কেরামকে রাজনীতির ময়দানে সরব উপস্থিতি প্রমাণ করতে হবে। ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামপন্থিগণ এক হলে ইসলামই হবে দেশের একমাত্র নিয়ামক শক্তি। ওলামায়ে কেরাম পিছিয়ে থাকায় নেতৃত্ব চলে গেছে জালিমদের হাতে। জালিমদের হাত থেকে আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সময়ের অনিবার্য দাবি।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উত্তরা পশ্চিম থানা সভাপতি সভাপতি মুফতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুফতি মিজানুর রহমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় বৃহত্তর উত্তরার বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, মসজিদের ইমামগণ বক্তব্য রাখেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ওলামায়ে কেরাম ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করেন। শাহ আব্দুল আজিজ (রহ.) ভারত উপমহাদেশকে দারুল হরব ঘোষণা করলে স্বাধীনতার সূচনা হয়। ভারত বিভক্ত কেবল ইসলাম ও মুসলমানের ভিত্তিতে। সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতৃত্ব দিতে হবে ওলামাদের। ওলমায়ে কেরাম সবচেয়ে বেশি জীবন ও রক্ত দিয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ৮০ হাজার ওলামাকে হত্যা করা হয়, ১৪ হাজার আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। কাজেই ওলামায়ে কেরামও সবচেয়ে বেশি হকদার রাষ্ট্র গঠনে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, আলেমদের অবদান অনস্বীকার্য। জীবনের মায়া ত্যাগ করে কারফিউ ভেঙে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। এই আন্দোলনে ওলামাদের অবদান না থাকলে কী হতো? কেউ চিন্তা করেছেন?

নঈমুদ্দীন/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়