পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলা হস্তান্তর সময় পেছালো
বাণিজ্য মেলার জন্য প্রস্তুত পূর্বাচল (ছবি: সংগৃহীত)
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে আগামী ১৭ মার্চ শুরুর প্রস্তুতি ধরে এগোচ্ছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠানের জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কেন্দ্রটি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) চীনের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার কথা থাকলেও, তা হয়নি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) চীনের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কেন্দ্রটি বুঝে নেওয়ার একটা প্রাথমিক সম্ভাবনা ছিল। তবে সেটা সিদ্ধান্ত ছিল না। বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কেন্দ্রটি একটি বড় স্থাপনা। তাই দুই দেশের মধ্যে একটা আনুষ্ঠানিকতার বিষয় থাকে। সেই বিষয়টাই মন্ত্রণালয়ের কাছে পেন্ডিং রয়েছে। এখনো কোনো সুনির্দিস্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে যেদিন সময় দিবে, আমরা সেদিনই এটা বুঝে নেবো।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের বিষয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর ইপিবির বোর্ড সভা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবনা আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো জানিয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইপিবির বোর্ড মিটিংয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে (১৭ মার্চ) মেলা উদ্বোধনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির ওপর। সম্মতি পেলে ওইদিন তিনি মেলা উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হচ্ছে না। আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মদিবসে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবারের মেলা কত দিনব্যাপী হবে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২১ বা ২৫ দিন অথবা দুই মাসব্যাপী হতে পারে।
ইপিবি সূত্র জানায়, পূর্বাচল উপশহর এলাকায় ২০ একর জমির ওপর বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে মার্চে বাণিজ্য মেলা হলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে।
এতদিন অস্থায়ীভাবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হতো। স্থায়ী ভেন্যুর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সরকার পূর্বাচলে বিশাল পরিসরে মেলা কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কেন্দ্র হলে স্থানীয় পণ্যের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পিটিটিভনেস’ বাড়বে। দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে।
পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে বাণিজ্য মেলা করার জন্য সরকারের কাছে ৩৮ একর জমি চেয়েছিল ইপিবি। তবে ২৬ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আরও ১২ একর জমি দেওয়া হবে। ২০ একর জমির ওপর এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৬ একর জমিতে নির্মাণ করা হবে ওয়্যার হাউজ, পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্থায়ী ফুড সেন্টার ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থাসহ প্রশাসনিক ভবন।
হাসিবুল/সাইফ
আরো পড়ুন