ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে টিকিট যেন সোনার হরিণ

মো. মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২১ জুলাই ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে টিকিট যেন সোনার হরিণ

শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠছেন যাত্রীরা

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ : শায়েস্তাগঞ্জ জংশন। বর্তমানে এ জংশনটি হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র রেলওয়ে জংশন হিসেবে গুরুত্ব বহন করছে। ব্রিটিশ আমলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে সেকশনের সিলেট বিভাগে পাঁচটি জংশন ছিল। এরমধ্যে অন্যতম ছিল এই জংশন।

প্রতিদিন এখান থেকে বিভিন্ন লোকাল ও আন্তঃনগর ট্রেনযোগে দুই থেকে আড়াই হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেন ভ্রমণের পূর্বে টিকিট কিনতে গেলেই দেখা দেয় বিড়ম্বনা। এখানে টিকিট যেন সোনার হরিণ। অনেকেই টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিট (দাঁড়ানো টিকিট) নিয়ে প্রচন্ডভিড়ে ট্রেন ভ্রমণ করতে হচ্ছে। অনেকে আবার ভেতরে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। নানা দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ছেন।

এখানে টিকিট বরাদ্দ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ জংশনে ঢাকাগামী উপবনের পূর্বে ছিল ৩১টি, বর্তমানে ৬টি, পারাবতের পূর্বে ছিল ৯০টি বর্তমানে ৩৫টি, কালনীর পূর্বে ছিল ৯৫টি বর্তমানে ৪৫টি ও জয়ন্তিকার পূর্বে ছিল ৬০ টি বর্তমানে ৪১টি এবং চট্রগ্রামগামী উদয়নের পূর্বে ছিল ৫২ টি বর্তমানে ২৫টি ও পাহাড়িকার পূর্বে ছিল ৫৫ টি বর্তমানে ২০টি টিকেট রয়েছে।  অর্থাৎ এখান থেকে সব রুটেই টিকিট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ কথা ছিল টিকিট বাড়ার। কারণ, যাত্রী আগের চেয়ে অনেক গুণ বেড়েছে। সবমিলিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সংখ্যা ১৭১টি। যাত্রীর সংখ্যা যেখনে দুই থেকে আড়াই হাজার, সেখানে এই কটি টিকিট কষ্টকে বাড়িয়েই তুলছে শুধু।

এ প্রসঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ মোয়াজ্জুল হক রেজা বলেন, ‘আর কি করেই বা টিকিট পাবেন। যাত্রী পরিমাণ হিসেবে ট্রেনের আসন সীমিত। এ সীমিতকে আরো সীমিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ঈদ এলে যাত্রী চারগুণ বৃদ্ধি পায়। যাত্রী সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই যাত্রীদের বসার আসনসহ জরুরী ভিত্তিতে টিকিট সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।’

ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক বলেন, ‘যাত্রীসেবার কথা চিন্তায় এনে গত কয়েক মাসে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজন কালোবাজারিকে গ্রেফতার করেছি। এ জংশন কালোবাজারি মুক্ত রাখতে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ তিনিও টিকেট বাড়ানোর দাবী করেন।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ জানায়, দিন দিন যাত্রী বেড়েই চলেছে। বাড়ছে না ট্রেনের টিকিট। এজন্য শত শত যাত্রীকে ট্রেনে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে টিকেট বাড়ানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই।


রাইজিংবিডি/হবিগঞ্জ/২১ জুলাই ২০১৬/মামুন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়