তামিমের চাওয়া ‘বিশ ম্যাচ’
তামিম ইকবাল ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন আট মাস। কিন্তু মাঠে নামার সুযোগ হয়নি এখনও। লাল-সবুজকে নেতৃত্ব দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন দেশসেরা ওপেনার। ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরার টুর্নামেন্টে মূল্যায়ন হবে তামিমের অধিনায়কত্বও। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরার আকুতি জানালেন।
এর আগে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে অধিনায়কত্ব করলেও তামিম ছিলেন আঁটোশাঁটো। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও তামিম একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। তবে দুই-তিন ম্যাচেই অধিনায়কত্ব মূল্যায়নের পক্ষে নন তিনি। তার ভাষ্য, ‘অন্তত বিশ ম্যাচ পর আমার অধিনায়কত্ব মূল্যায়ন করবেন।’
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয় তামিম ইকবালকে। দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মাঠে নামার কথা ছিল তার। এপ্রিলে পাকিস্তান সফরেই ছিল একটি ওয়ানডে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সফরটি স্থগিত হয়। ফলে অধিনায়ক তামিমের অভিষেকও বিলম্ব হয়।
দুই দফায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানোর পর গত ৬ মার্চ অধিনায়ক হিসেবে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেন মাশরাফি। ৫০ জয় নিয়ে মাশরাফি ছাড়েন অধিনায়কত্ব। মাশরাফিকে কাঁধে করে বিদায় জানিয়েছিলেন তামিম। সেই কাঁধেই এখন বাংলাদেশের রঙিন পোশাকের ওয়ানডের দায়িত্ব।
নিজের নতুন ভূমিকায় তামিম বেশ উৎফুল্ল। নিজেকে মেলে ধরতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার দাবি তার। শনিবার। মিরপুরে তামিম বলেন, ‘অধিনায়কত্বের চাপ আমি কখনোই অনুভব করিনি। অধিনায়কত্বের চাপ, এটা আসলে আপনাদের (গণমাধ্যমের) বানানো।’
‘আমি এখনো অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি। আমি যেদিন অধিনায়কত্ব পেয়েছি ওই দিনও বলেছি, অধিনায়কত্ব মূল্যায়ন করবেন ছয় মাস বা এক বছর পর। ওইটা পৃথিবীর যত বড় অথবা ছোট অধিনায়ক হোক। দুই বা তিন ম্যাচ পর আপনারা শুরু করেন, অধিনায়কত্বের চাপ!
‘একটা বাচ্চা হাঁটতে কিন্তু নয় মাস সময় লাগবে। একদিনে সে না হাঁটবে আপনি বলতে পারেন না। খেলায় আমার অধিনায়কত্ব কতটা প্রভাব ফেলছে সেটা মূল্যায়ন করবেন অন্তত বিশ ম্যাচ পর। দুই তিন ম্যাচ পর সেটা করতে পারেন না।’
ধৈর্য ধরার আকুতি জানিয়ে তামিম আরো বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখিনি যে, এই দেশের অধিনায়কত্ব করার। এখন সুযোগ এসেছে আমার কাছে। চেষ্টা করবো পুরোপুরিভাবে করতে। ভালো হবে খারাপ হবে সেটা সময় বলবে। ভালো অধিনায়ক হতে হলে অনেক কিছু যদি হবে। এক সিরিজ দুই সিরিজে আপনি যদি মনে করেন যে কাজ হচ্ছে না। এটা আসলে কারো জন্যই ভালো না। আমার জন্য, দলের জন্য, দেশের জন্য। আমার নিজের দেখে বলছি না। আমার পরে যে হবে অথবা অন্য ফরম্যাটে।’
মাঠে এবং মাঠের বাইরে ভূমিকা রাখতে মুখিয়ে তামিম। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করতে চান দেশসেরা ওপেনার। তার ভাষ্য, ‘অধিনায়কের দায়িত্ব অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে। সবার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি চেষ্টা করবো যতটুকু সম্ভব সবকিছু করার। এরপর দেখতে হবে কী হয়। এটা আমি অধিনায়ক না থাকলেও করি। আমার যে অধিনায়ক হতেই হবে তা না। নেতা আপনি যেকোনো সময়ই হতে পারেন। ভালো নেতা হওয়ার জন্য অধিনায়কত্বের দরকার নেই। নেতা হিসেবে আপনাকে কথার চেয়ে বেশি কাজ করতে হবে।’
ঢাকা/ইয়াসিন
আরো পড়ুন