ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রিজওয়ানের ব্যাটে মান বাঁচালো পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ২২ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:২৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
রিজওয়ানের ব্যাটে মান বাঁচালো পাকিস্তান

রিজওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিং

পাকিস্তানের ৩৩তম টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে দুরন্ত পারফর্ম করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে দলের মান রক্ষা করলেন এই ওপেনার। মঙ্গলবার ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে তারা। সিরিজ ২-১ এ জিতেছে ব্ল্যাক ক্যাপরা।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে চোট আক্রান্ত বাবর আজমের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন রিজওয়ান। এই ম্যাচের আগে নিজেকে চেনালেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪০ বলে ৭ চারে প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করেন। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার সম্ভাবনা জাগালেও ইনিংসের ৪ বল আগে ও লক্ষ্য থেকে ৩ রান দূরে থাকতে আউট হন রিজওয়ান।

তাতে অবশ্য খুব বেশি সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের জিততে। রিজওয়ান আউট হওয়ার দুই বল পর ইফতিখার আহমেদের বিশাল ছক্কায় জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সফরকারীরা। ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান করে পাকিস্তান। ৫৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৮৯ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিজওয়ান। আগে ব্যাট করতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে ১৭৩ রান করে।

নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টিম সেইফার্টের সঙ্গে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফিরে যান মার্টিন গাপটিল (১৯)। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৪ বল খেলে একটি রান করে বোল্ড হন ফাহিম আশরাফের বলে। পাকিস্তানি বোলার তার পরের ওভারে ফেরান ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩৫ রানের ছোট ঝড়ো ইনিংস খেলা সেইফার্টকে।

পরে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ৫১ রানের সেরা জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে। ফিলিপস ৩১ রানে বিদায় নেন। কনওয়ে ৩৯ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে শেষ ওভারে আউট হন। ৪৫ বল খেলে ইনিংস সেরা ৬৩ রান করেন তিনি।

পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ফাহিম। দুটি করে পান শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

লক্ষ্যে নেমে রিজওয়ান ও হায়দার আলীও ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে পরে ৭২ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়েন রিজওয়ান। ৪১ রানে হাফিজ বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে থেকে দলের ভরসা হয়ে ছিলেন এই ওপেনার। খুশদিল শাহর (১৩) সঙ্গে ২৯ ও ফাহিমের (২) সঙ্গে ২২ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন রিজওয়ান।

১৯তম ওভারে টিম সাউদি প্রথম দুই বলে ফাহিম ও শাদাব খানকে ফেরালেও ইফতিখারের ব্যাটে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে পাকিস্তান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৪ রান। দ্বিতীয় বলে কাইল জেমিসনের বলে রিজওয়ান কনওয়ের ক্যাচ হলে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এই ধাক্কাও সামাল দেন ইফতিখার। তার ৭ বলে ১টি করে চার ও ছয়ে সাজানো অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংসে জিতে যায় পাকিস্তান।

নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সাউদি ও স্কট কুগেলেইন সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন। তিন ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করে সেইফার্ট হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়