ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

২৪ পয়েন্টে লক্ষ্য নিউ জিল্যান্ডের, কিন্তু কাজটা সহজ নয় জানে সফরকারীরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২৭ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৭:০৭, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
২৪ পয়েন্টে লক্ষ্য নিউ জিল্যান্ডের, কিন্তু কাজটা সহজ নয় জানে সফরকারীরা

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুই সার্কেলে দুইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের। প্রথম সার্কেলে তারা চ্যাম্পিয়ন। দ্বিতীয় সার্কেলে ষষ্ঠ। শীর্ষে থেকে তলানিতে, মিশ্র এই অভিজ্ঞতা কিউইদের শিরোপা পুনরুদ্ধারে কতোটা তাতিয়ে দিচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ সফর দিয়েই। সিলেট ও ঢাকায় দুই টেস্ট খেলে নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় সার্কেলের লড়াই শুরু হচ্ছে।

কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলা নিউ জিল্যান্ড সেরা দল নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, মিচেল স্যান্টনার, টম লাথাম, টিম সাউদি, রাচীন রাবীন্দ্ররা সবাই এসেছেন সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলতে। লক্ষ্য একটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৪ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। সেই কাজটা করতে গিয়ে একেবারেই বিশ্রামহীন তারা। 

আরো পড়ুন:

পেশাদার হিসেবে সেই কাজটা করে অভ্যস্ত তারা তা বলতে দ্বিধা করলেন না দলের অধিনায়ক টিম সাউদি, ‘হ্যাঁ, আমাদের ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলেছি। মাঝে বিশ্বকাপের খেলাও ছিল। ক্রিকেটার হিসেবে আসলে এটা পার্ট অ্যান্ড পার্সেল। তিন ফরম্যাটে খেলা একজন ক্রিকেটারকে এই ব্যস্ত সূচি মেনে নিতে হবে। আমরা ভাগ্যবান এখানে কিছুদিন বিশ্রামে কাটাতে পেরেছি এবং নিজেদের সতেজ করেছি। এখন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সার্কেল শুরু হচ্ছে। তাই ক্রিকেটারদের এখন নিজেদেরকে আরেকটু লড়াই করতে হবে। এরপর আমাদের নিজেদের কন্ডিশনে সামার শুরু হবে।’

দুই টেস্ট জিতলে নিউ জিল্যান্ড ২৪ পয়েন্ট পাবে। ড্র করলেই পয়েন্টে প্রভাব পড়বে। ২৪ পয়েন্টে সফরকারীদের নজর থাকলেও তারা জানে কাজটা মোটেও সহজ নয়। টিম সাউদির কথায় তা ফুটে উঠলো, ‘আপনি যেভাবে বলছেন পয়েন্ট পাওয়া এতোটাও সহজ নয়। আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ এই কন্ডিশনে কতটা ভালোমানের দল। আমি একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লড়াইয়ের কল্পনা করছি।’ 

বাংলাদেশকে সমীহ করে সাউদি আরও বলেছেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেলে মাঠে নামা দারুণ কিছু। বাংলাদেশ নিজেদের কন্ডিশনে বেশ শক্তিশালী। আমরা গত বছর শুরুতে টেস্ট খেলেছিলাম। আমাদের শেষ সার্কেল যেভাবে প্রত্যাশা করেছিলাম সেভাবে কাটেনি। প্রথম সার্কেলে যারা আমরা ছিলাম তারা প্রত্যেকেই জানে এটা কতটা স্পেশাল আমাদের জন্য।’

পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠ টেস্ট ক্রিকেটের স্বাদ পেতে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ম্যাচ হলেও পাঁচদিনের খেলা হচ্ছে না। তাই উইকেট নিয়ে কিছুটা রহস্য থেকে যাচ্ছে। স্বাগতিক দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট কেমন ব্যবহার করে সেজন্য অপেক্ষায় থাকতে বলেছেন। সফরকারী দলের অধিনায়ক সাউদি বিশ্বাস করেন উইকেট ভালোমানের হবে, ‘আমরা উইকেট দেখেছি। তবে খুব বেশি ম্যাচ না হওয়ায় এই উইকেট নিয়ে তেমন ধারণা পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করছি ভালোমানের উইকেট পাবো। হ্যাঁ, উইকেট স্পিন সহায়ক হবে সেটা আমরা বলতেই পারি। আমরা এর আগে পাকিস্তানে খেলেছি। তাই ছেলেরা জানে উপমহাদেশে কিভাবে খেলতে হয়।’

বাংলাদেশ স্পিনে ফাঁদ পাতবে তা জেনে চার স্পিনার নিয়ে এসেছে নিউ জিল্যান্ড। ইশ শোধী, মিচেল স্যান্টনার, আজাজ পাটেলের সঙ্গে আছেন রাচীন রবীন্দ্র, গ্লেন ফিলিপস। প্রয়োজনে হাত ঘোরাতে পারবেন কেন উইলিয়ামসনও। নিজেদের বোলিং নিয়ে সাউদি বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘এখানে ভালো করতে আসলে বোলারদের ভিন্ন ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের এখানে তিনজন পেসার আছে যাদের ভূমিকা ভিন্ন। নিজেদের যৌথ প্রচেষ্টায় আমাদের সফলতা মিলবে। স্পিনারদের নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে করে দেখানোর সামান্য সুযোগ পান। কিন্তু এখানে বড় সুযোগ নিজেদের মেলে ধরার।’ 

ইয়াসিন/আমিনুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়