ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

৬০ রানের হারে শুরু আয়োজক পাকিস্তানের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২৩:০৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৬০ রানের হারে শুরু আয়োজক পাকিস্তানের

:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::
নিউ জিল্যান্ড: ৩২০/৫ (৫০ ওভারে)
পাকিস্তান: ২৬০/১০ (৪৭.২ ওভারে)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৬০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: টম ল্যাথাম (১১৮*)।

 

আরো পড়ুন:

টার্গেটটা অবশ্য বড়ই ছিল। ৩২১! সেই টার্গেটে যেমন সূচনা পাওয়ার কথা ছিল সেটি পায়নি পাকিস্তান। বাবর আজম, খুশদীল শাহ ও সালমান আগা ছাড়া আর কেউ ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। তাতে ৩২১ রানও ছোঁয়া হয়নি আয়োজক পাকিস্তানের। তারা ৪৭.২ ওভারে অলআউট হয় ২৬০ রানে। আর নিউ জিল্যান্ড ৬০ রানের জয় দিয়ে শুরু করে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫।

খুশদীল ১০টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৯, বাবর ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ ও সালমান ৬ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪২ রান।

বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের উইল ও’রুর্কে ও মিচেল স্যান্টনার ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাট হেনরি নেন ২টি উইকেট।

অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন নিউ জিল্যান্ডের টম ল্যাথাম।

পরের ম্যাচে ২৩ ফেব্রুয়ারি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। আর ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ড খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

ঝড় তুলে ফিরলেন খুশদীল, হারের দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান:
খুশদীলের ব্যাটে স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছিল না পাকিস্তানের সমর্থকরা। তবে তার ব্যাটিং মন ভরিয়েছে দর্শকদের। মাত্র ৪৯ বলে ১০টি চার ও ১ ছক্কায় ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন খুশদীল। তাতে পাকিস্তানের রান বেড়ে ২২৯ পর্যন্ত যায়। এই রানে ফিরেন খুশদীল। তাতে হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। নাসিম শাহর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হারিস রউফ। ৪৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২২৯/৮।

খুশদীল ঝড়ে ২০০ পেরুল পাকিস্তান:
বাবর আজম ফেরার পর দর্শকরা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। যারা মাঠ ছেড়ে যান তারা মিস করেন খুশদীল শাহর ঝড়। মাত্র ৩৬ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করেন। তাকে সঙ্গ দেন শাহীন আফ্রিদি। তাতে ১৫৩ থেকে পাকিস্তানের রান বেড়ে হয় ২০০। কিন্তু এই রানে আউট হন শাহীন। ম্যাট হেনরির বলে উইকেটের পেছনে ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ১ ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি। খুশদীলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাসিম শাহ।

ফিফটি করে বাবরের বিদায়, ধুঁকছে পাকিস্তান:
বাবর আজম একপ্রান্ত আগলে লড়াই করছিলেন খুব। কিন্তু বল ও রানের ব্যবধান ঘোচাতে তাকে হাত খুলতে হচ্ছিল। আর হাত খুলে খেলতে গিয়ে ফিফটি তুলে নিলেও টিকে থাকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। স্যান্টনারের করা ৩৪তম ওভারের শেষ বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইলিয়ামসনের তালুবন্দি হন। ৯০ বল খেলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ রান করেন সাবেক অধিনায়ক। তার আউটের পর স্টেডিয়াম থেকে দর্শকরা বেরিয়ে যেতে শুরু করেন।

খুশদীলের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি।

৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পাকিস্তান:
৬৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হওয়ার পর হাল ধরেন বাবর ও সালমান। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৫৯ বলে ৫৮ রান। ১২৭ রানের মাথায় ভাঙে এই জুটি। নাথান স্মিথের করা ৩১তম ওভারের চতুর্থ বলে ব্রেসওয়েলের হাতে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সালমান। ২৮ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান।

এরপর ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান নতুন ব্যাটসম্যান তৈয়ব তাহির। তিনি ৫ বল খেলে মাত্র ১ রান করে স্যান্টনারের বলে লেগ সাইডে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন।

বাবরের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন খুশদীল শাহ। বাবর একপ্রান্ত আগলে টানছেন দলীয় সংগ্রহকে। যিনি ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন।

সালমান-বাবরে শতরান পেরিয়ে পাকিস্তান:
৬৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও সালমান আলী আগা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে পাকিস্তান শতরান পেরিয়ে গেছে। ২৯ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৯। বাবর ৪৬ ও সালমান ৩৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি থেকে এ পর্যন্ত এসেছে ৪৯ বলে ৫০ রান।

পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেটের পতন:
৬৯ রানে যেতেই তৃতীয় উইকেট হারাল পাকিস্তান। এবার ফিরে গেছেন ফখর জামান। মাইকেল ব্রেসওলের করা ২১তম ওভারের পঞ্চম বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। ৪১ বল খেলে ৪টি চারে ২৪ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে ৬৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে রানের চাকাকে সচল করেন কিছুটা। কারণ, প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তান তুলেছিল মাত্র ২২ রান। হারিয়েছিল ২ উইকেট। বাবরের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন সালমান আলী আগা। বাবর ৩৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

বাবর-ফখরে ৫০ পেরুলো পাকিস্তান:
১০ ওভারে ২২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসা পাকিস্তান দলকে টানছেন বাবর আজম ও ফখর জামান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজন ৩৬ বলে দলীয় সংগ্রহে ৩৩ রান সংগ্রহে করেছেন। তাতে পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ৫০ পেরিয়েছে। বাবর ২৭ ও ফখর ১৮ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লে’তে ২ উইকেট হারাল পাকিস্তান:
নিউ জিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে স্লথের গতিতে রান তুলছে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারে তারা ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে মাত্র ২২ রান। চতুর্থ ওভারে সৌদ শাকিল ফেরার পর দশম ওভারের শেষ বলে আউট হন অধিনায়ক রিজওয়ান। তিনি কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ধরা পড়েন। অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে ক্যাচটি লুফে নেন ফিলিপস। ১৪ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন পাকিস্তান দলপতি।

শুরুতেই উইকেট হারাল পাকিস্তান:
৩২১ রানের বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে উইলিয়াম ও’রুরকের বলে থার্ড ম্যানে ম্যাট হেনরির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সৌদ শাকিল। ১৯ বল খেলে মাত্র ৬ রান করে যান শাকিল। বাবর আজমের সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।

দুই সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ল নিউ জিল্যান্ড:
নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসটির গল্প কেবল দুটি সেঞ্চুরি, দুটি জুটি ও তিনজন ব্যাটসম্যানের। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান উইল ইয়াং (১০৭) ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম (১১৮*) সেঞ্চুরি করেন। ইয়াং-ল্যাথাম চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৮ ও ল্যাথাম-গ্লেন ফিলিপস পঞ্চম উইকেটে তোলেন ১২৫ রান। ইয়াং-ল্যাথামের বাইরে ফিফটি করেন ফিলিপস (৬১)। তাতে ৫০ ওভারে নিউ জিল্যান্ড ৫ উইকেটে ৩২০ রান সংগ্রহ করেছে। জিততে টুর্নামেন্ট শুরু করতে আয়োজক পাকিস্তানকে টপকে যেতে হবে ৩২০ রান।

বল হাতে পাকিস্তানের নাসিম শাহ ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। হারিস রউফ ১০ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। আর আবরার আহমেদ ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন।

ফিফটি করে ফিরলেন ফিলিপস:
মাত্র ৩৯ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। যাওয়ার আগে ল্যাথামের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে মহামূল্যবান ১২৫ রানের জুটি গড়ে যান। তার উইকেটটি নেন হারিস রউফ।

ইয়াং-ল্যাথামের সেঞ্চুরির পর ফিলিপসের ফিফটি:
উইল ইয়াং ও টম ল্যাথামের সেঞ্চুরির পর ফিফটি তুলে নিলেন গ্লেন ফিলিপস। এই তিন ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। ৪৮.৩ ওভার শেষে কিউইদের রান ৩০০।

ইয়াংয়ের পর ল্যাথামের সেঞ্চুরি:
উইল ইয়াং সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফিরে গেছেন। তার সঙ্গে জুটি গড়ে ফিফটি করেছিলেন টম ল্যাথাম। এবার তিনিও তুলে নিলেন মারমুখী সেঞ্চুরি। মাত্র ৯৫ বল খেলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। এটা তার ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবার এক ইনিংসে দুইটি সেঞ্চুরি হলো।

২০০ রান পেরিয়ে নিউ জিল্যান্ড:
ইয়াং ফেরার পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছেন টম ল্যাথাম। তার ব্যাটে এগোচ্ছে নিউ জিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহও। ৪০ ওভারেই নিউ জিল্যান্ড পেরিয়ে যায় ২০০ রান। ৪০ ওভার শেষে কিউইদের রান হয় ৪ উইকেটে ২০৭। ল্যাথাম ৬৭ ও ফিলিপস ৪ রানে ব্যাট করছেন।

সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফিরলেন ইয়াং:
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন উইল ইয়াং। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে নিউ জিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহও যাচ্ছিল এগিয়ে। কিন্তু ১৯১ রানের মাথায় সমাপ্তি ঘটে ইয়াংয়ের দারুণ ইনিংসের। নাসিম শাহর করা ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে কাভার দিয়ে একটি বাউন্ডারি হাঁকান। দ্বিতীয় বলটি হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলেন। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগে বদলি ফিল্ডার ফাহিম আশরাফের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে ল্যাথামের সঙ্গে ১১৮ রানের জুটি গড়েছিলেন।

ল্যাথামের ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি:
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টম ল্যাথাম। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই তুলে নিলেন আরও একটি ফিফটি। তার এই ৬১ বলের ইনিংসে ৪টি চারের মার রয়েছে।

দারুণ ব্যাটিংয়ে ইয়াংয়ের চতুর্থ সেঞ্চুরি:
উদ্বোধনী জুটিতে মাঠে নেমে তিনজন সঙ্গী হারালে ইয়াং ছিলেন অবিচল। দারুণভাবে দেখে-শুনে ব্যাটিং করে ৫৬ বলে করেন ফিফটি। এরপর     ১০৭ বল খেলে ১১টি চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। যা বিদেশের মাটিতে তার প্রথম। তার সেঞ্চুরি ও টম ল্যাথামের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে এগোচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। ৩৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৩। ইয়াং ১০২ ও ল্যাথাম ৫৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

দেড়শ পেরিয়ে নিউ জিল্যান্ড:
উইল ইয়াং ও টম ল্যাথামের ব্যাটে ভর করে ৩১ ওভারে দেড়শ রান পেরিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ইয়াং আছেন সেঞ্চুরির পথে। অন্যদিকে ল্যাথাম এগোচ্ছেন হাফ সেঞ্চুরির দিকে। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে ইতোমধ্যে ৭৮ রান যোগ করেছে। ইয়াং ৯১ ও ল্যাথাম ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।

ইয়াং-ল্যাথামে এগোচ্ছে নিউ জিল্যান্ড:
৭৩ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের হাল ধরেন উইল ইয়াং ও টম ল্যাথাম। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। ২৬ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৯। ইয়াং ৭৬ ও ল্যাথাম ১৯ রানে ব্যাট করছেন।

..........................................................................................................এআই

শুরু হয়ে গেল আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসর। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) করাচির ন্যশনাল স্টেডিয়ামে উদ্ভোধনী ম্যাচে, পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিধান্ত নেন। রিজওয়ান কারণ হিসেবে বলেন,"আশা করি যে রাতের দিকে শিশির পড়বে। যদি আমরা নিজেদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভাবি, তাহলে শুধু চাপেই পড়ব। আমরা শুধু শান্তভাবে খেলতে চাই।"

পাকিস্তান দলে এসেছে একটি পরিবর্তন। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলা ফাহিম আশরাফের বদলে একাদশে এসেছেন হারিস রাউফ।

অন্যদিকে কিউইরা দলে পাচ্ছে না বিধ্বংসী অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রকে। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় কপালে কেটে যায় এই ক্রিকেটারের। টসে হেরে মিচেল স্যান্টনার বলেন,  "গত কয়েক বছরে আমরা ঘর ও বাইরে অনেক বার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি, তাই আমরা ভাগ্যবান।" ম্যাট হেনরি আজ নিউজিল্যান্ডের আক্রমণে  ঢুকেছেন।  বাদ পড়েছেন ত্রিদেশিয় সিরিজের ফাইনাল খেলা  জ্যাকব ডাফি।  

পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, বাবর আজম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলী আগা, তায়েব তাহির, খুশদিল শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রাউফ ও আবরার আহমেদ। 

নিউ জিল্যান্ড একাদশ: উইল ইয়ং, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, ডার্ল মিচেল, টম লাথাম, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্ট্যানার, ম্যাট হেনরি, নাথান স্মিথ ও উইল ও’ রুর্ক।

৬ ওভার শেষে কোন উইকেট হারায়নি নিউজিল্যান্ড

সাবধানী শুরু করেছে নিউ জিল্যান্ড। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ কোন উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান। উইল ইয়ং ২৪ বলে ২২ রান করে অপরাজিত আছেন। অন্যদিকে ১২ বলে ১০ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন ডেভন কনওয়ে।

আবরার ভেলকিতে ফিরলেন কনওয়ে  

আগের দুটি বল থেকে কোন রান নিতে পারেননি কনওয়ে। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলটি  ছিল লেনথে, কনওয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন। তবে আবরারের জাদুকরী ডেলিভারিটা লেগ স্টাম্পের উপর পড়ে অফ স্টাম্প ভেঙে ফেলে। 

নাসিম শাহর আঘাতে ফিরলেন উইলিয়ামসন

কনওয়ে ফেরার পর নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ কেন উইলিয়ামসন এসেছিলেন ক্রিজে। প্রথম বলে ১ রান নিয়ে জায়গা পরিবর্তন করে চলে যান নন স্ট্রাইকে। ওভারের পরের দুই বলে ইইয়ং কোন রান না পেলে নাসিমের প্রথম বলটাই মোকাবেলা করতে হয় এই উইলিয়ামসনকে।

নাসিম একটু জোরের সাথে পেছনের লেন্থে বলটা করেছিলেন। ডিফেন্ড করতে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। বল ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় রিজওয়ান কাছে। নিচু হওয়া ক্যাচটা নিতে ভুল করেননি রিজওয়ান। সাথে সাথেই জেগে উঠলো করাচি স্টেডিয়াম, জেগে উঠলো গোটা পাকিস্তান! উইলিয়ামসন যে সাজঘরে ফিরলেন। 

কেন উইলিয়ামসন ক্যাচ- মোহাম্মদ রিজওয়ান, বল- নাসিম শাহ; ১ (২ বল ০ চার ০ ছক্কা) স্ট্রাইক রেট- ৫০।

১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪৮/২

ক্রিজে আছেন উইল ইয়ং ৩৪ বলে ৩২ করে এবং ড্যারেল মিচেল ১৩ বলে ৫ রান করে। আবরার ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। নাসিম শাহ ৫ ওভার করে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন মহামূল্যবান উইলিয়ামসনের উইকেটটি।

হারিস রাউফে কাঁটা পড়লেন মিচেল

রাউফের বল ছিল শর্ট লেন্থে। বলটি ঠিকভাবে পুল করার জন্য মিচেল লেগ সাইডে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাতে লাভ হয়নি। মিড-অনে শাঈন আফ্রিদির ক্যাচে পরিণত হন তিনি।

ড্যারেল মিচেল ক্যাচ- শাহীন আফ্রিদি, বল- হারিস রাউফ ১০ রান (২৪ বল ০ চার ০ ছক্কা) স্ট্রাইক রেট ৪১.৬৬।  

২০ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৯৩/৩

নিউ জিল্যান্ডের কারেন্ট স্ট্রাইকরেট- ৪.৬৫। টম লাথাম ৯ বলে ৬ রান এবং উইল ইয়ং ৭ চার এবং ১ ছক্কায় ৬৮ বলে ৬৩ রানে অপারাজিত আছেন। 

ঢাকা/নাভিদ/আমিনুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়