বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হবে দুই দলের টি-টোয়েন্টি মহারণ। আইসিসি এফটিপির বাইরে গিয়ে দুই দলের সম্মতিতে আয়োজিত হচ্ছে এই সিরিজ। মূলত আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই বাড়তি প্রস্তুতিতে আয়োজিত হচ্ছে এই সিরিজ।
মাঠে নামার আগে দুই দলের পরিসংখ্যানে চোখ বুলানো যাক,
১১
দুই দল এখন পর্যন্ত ১১টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে। যার ১০টিই জিতেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ জিতেছে কেবল ১টি।
২২
এর আগের ২২ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৩ ম্যাচে। পাকিস্তান জিতেছে বাকি ১৯ ম্যাচে।
২০৩/৫
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ রান পাকিস্তানের দখলে। ৫ উইকেটে ২০৩ রান করেছে তারা। ২০০৮ সালে করাচিতেই এই রান করেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৬ উইকেটে ১৯৬। এই বছরের জুনেই লাহোরে এই রান করেছিল বাংলাদেশ।
৮৫/৯
সর্বোচ্চ রান নিজেদের দখলে রাখতে না পারলেও সর্বনিম্ন রানে আছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। যা দুই দলের মুখোমুখিতে সর্বনিম্ন রান। পাকিস্তানের সর্বনিম্ন রান ৫ উইকেটে ১২৭।
১০২ রান, ৯ উইকেট
রানের ও উইকেটের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় পাকিস্তানের দখলে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশকে ২০৪ রান টার্গেট দিয়ে ১০২ রানে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। এছাড়া ২০২০ সালে ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল লাহোরে।
৩৬০
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন সাকিব আল হাসান। ১১ ম্যাচে ৩৬০ রান করেছেন সাকিব। ব্যাটিং গড় ৪০.০০।
১১১
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানেরই দখলে। ২০১৪ সালে মিরপুরে আহমেদ শেহজাদ ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
৪
সর্বোচ্চ ৪টি ফিফটি রয়েছে সাকিব আল হাসানের।
২
সর্বোচ্চ ২টি ডাক সাইফ হাসানের। ২টি ডাক আছে আরো ৫ ব্যাটসম্যানের। তবে সাইফ ৩ ম্যাচ খেলেই ২টি ডাক পেয়েছেন।
১৩
পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি সর্বোচ্চ ১৩ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ১০ ম্যাচে ৯ ইনিংসে তার ছক্কা ১৩টি।
৭
এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন মোহাম্মদ হারিস। গত জুনে লাহোরে ১০৭ রানের ইনিংস খেলার পথে ৭টি ছক্কা মেরেছিলেন হারিস।
২
দুটি সেঞ্চুরি আছে দুটিই পাকিস্তানের ক্রিকেটারের। ২০১৪ সালে আহমেদ শেহজাদ এবং গত জুনে মোহাম্মদ হারিস সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
১৭৯
এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মোহাম্মদ হারিস। ৩ ম্যাচে ১৭৯ রান করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
১২
মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খানের। ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট পেয়েছেন এই লেগ স্পিনার। বোলিং গড় ২১, ইকোনমি ৭।
১
হাসান আলী একমাত্র বোলার হিসেবে পেয়েছেন ৫ উইকেট। গত জুনে ৩.২ ওভারে ৩০ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
৬৩
দুই দলের বোলারদের মধ্যে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০১৪ সালে মিরপুরে ৪ ওভারে ৬৩ রান দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক।
৮
এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট হাসান আলীর। কিছুদিন আগেই ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন ডানহাতি পেসার।
৬
দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬ ক্যাচ নিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
১৫
বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ সবচেয়ে বেশি ১৫ ম্যাচ খেলেছেন দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে।
ঢাকা/ইয়াসিন