রামোসের শেষ মুহূর্তের গোলে বার্সেলোনাকে হারাল পিএসজি
শেষ বাঁশি বাজতেই নীরব হয়ে যায় লুইস কম্পানিস স্টেডিয়াম, উল্লাসে ফেটে পড়ে প্যারিসের সমর্থকরা। বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের যোগ করা সময়ে গনসালো রামোসের দুর্দান্ত গোলেই বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় বার্সার মাঠে টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পেল ফরাসি জায়ান্টরা। যা আগে আর কোনো ক্লাবের হয়নি।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিল কাতালানরা। মাত্র ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ভিতিনহার ভুল পাস কাটিয়ে বল পায় লামিন ইয়ামাল। সেখান থেকে দারুণ সমন্বয়ে বল যায় পেদ্রির কাছে। তার ছোঁয়া থেকে পান মার্কাস র্যাশফোর্ড। আর শেষ পর্যন্ত চমৎকার স্লাইডিং ফিনিশে জালে পাঠান ফেরান তোরেস। এই গোলে নতুন এক ক্লাব রেকর্ডও গড়েন তোরেস। আর সেটা হলো টানা ৪৫ ম্যাচে গোল করার নজির!
তবে লুইস এনরিকের শিষ্যরা ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে থাকে। বিরতিতে যাওয়ার সাত মিনিট আগে নুনো মেন্ডেসের দুর্দান্ত দৌড়ের পর পাওয়া সুযোগ কাজে লাগান ১৯ বছর বয়সী সেনি মাইউলু। পাউ কুবারসির দুর্বল ক্লিয়ারেন্স কেটে নিয়ে বাঁ পায়ের আত্মবিশ্বাসী শটে গোল করে সমতায় ফেরান তিনি। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ব্র্যাডলি বারকোলা সহজ এক সুযোগ নষ্ট না করলে বিরতিতে যাওয়ার আগেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি।
বিরতির পরও দুই দলই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বারকোলার শট ঠেকান বার্সার গোলরক্ষক শেজনি। আবার অন্যদিকে দানি ওলমোর শট গোলমুখে দাঁড়িয়ে ব্লক করেন হাকিমি। খেলার শেষ ভাগে লি কাং-ইনের জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসে। তখনো মনে হচ্ছিল ম্যাচ হয়তো ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে।
কিন্তু শেষ হাসি হাসল এনরিকের পিএসজি। যোগ করা সময়ে হাকিমির নিখুঁত পাসে বার্সার ডিফেন্স ভেঙে গিয়েছিল। আর সেখান থেকেই বদলি হিসেবে নামা গনসালো রামোস দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।
এ জয় শুধু তিন পয়েন্ট নয়, বরং ইতিহাস। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার মাঠে তিনবার জয় পাওয়া প্রথম দল হলো পিএসজি। আর কোচ লুইস এনরিকের জন্যও এ জয় আলাদা আবেগের। কারণ, একসময় এই বার্সেলোনারই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ঢাকা/আমিনুল