ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাংলা চ্যানেলে রুদ্ধশ্বাস সাড়ে চার ঘণ্টা

হোমায়েদ ইসহাক মুন  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৬:৫১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলা চ্যানেলে রুদ্ধশ্বাস সাড়ে চার ঘণ্টা

ছোট বেলায় জলের মাঝে মাছেদের ঘুরে বেড়ানো দেখে খুব জানতে ইচ্ছে হতো, কি করে এমন সুন্দর করে তারা সাঁতার কাটে! আমাদের লেজ নাই, কানকো নাই, অনেকক্ষণ জলের নিচে মাথা ডুবিয়ে থাকতেও পারবো না- তাহলে কি করে জলে ভেসে থাকবো! এরপর মানুষের সাঁতার দেখলাম। হাত-পা ছুড়ে ছুড়ে জলের সাথে গা ভাসিয়ে দিয়ে নীরবে চলে যায়। ভারী সুন্দর দেখতে! চেষ্টা করলে আমিও পারবো, আশা জাগলো মনে। 

ছোট বেলায় গ্রামে দাদুকে দেখতে গেলে যেমন আনন্দ হতো, তেমন পুকুর দেখেও খুব উৎফুল্ল হতাম। পানিতে নামার জন্য মন ছটফট করতো। সাঁতার শেখা হয়ে ওঠেনি তখনো। কিন্তু বাঁধানো পুকুরে ঠিকই নেমে পড়তাম। ওঠার নামগন্ধ থাকত না। জোর করে মেরে ধরে পানি থেকে তুলে আনতো। এক সময় বাবা পুকুর ঘাট থেকে দূরে নিয়ে ছেড়ে দিলো, হাঁসফাঁস করতে করতে পাড়ে চলে আসলাম। এরপর গভীর পুকুর, বড় হাউজ, ঝরনার ধারা, নদী, হাওড়, সুইমিং পুল কোনোটা বাদ রইলো না। পানি পেলেই নেমে পড়েছি। এখনও নেমে পড়ি। পানি কেনো জানি খুব টানে। সেই টানেই গভীর সমুদ্রেও নেমে পড়েছিলাম। উত্তাল ঢেউ ঠেলে সাঁতরে তীরে উঠতে চেয়েছিলাম। সেই গল্প বলতে আজকে লিখতে বসেছি। 

এই সাঁতারকে পাগলামি বলব নাকি সাধনা ঠিক জানা নাই। কঠিন সেই অধ্যাবসায়। কত ত্যাগ আর তিতিক্ষা এই সাঁতার ঘিরে। মহেন্দ্রক্ষণের  অপেক্ষায় ২ বছর কেটে গেলো কীভাবে বুঝতেই পারলাম না। জীবন আমাদের প্রতিনিয়ত শেখায়। প্রকৃতি আমাদের জীবন সমৃদ্ধ করে। প্রকৃতির কাছে বীরেরাও হার মানে। সেই কঠিন প্রকৃতির কাছে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম বছর দুই আগে। সাঁতারকে ঘিরে নানা ধরনের অনুশীলন শুরু হয়েছে। বাংলা চ্যনেলের কঠিন পথ পাড়ি দিবো বলে পানির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেলি। ঢাকা শহরের সবচেয়ে সুন্দর সাঁতারের জায়গা বলা যায় বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্ক যার অবস্থান গুলশান ২ নাম্বার। গুলশান সুইমিং ক্লাবের মেম্বার হয়ে, নিয়মিত সকাল বেলা পার্কে দুই-এক চক্কর দৌড়ে পানিতে নেমে পড়ি। কি বসন্ত কি শীত কাল, পানিতে নামা এক দিন মিস হলে মনে হয় জীবন থেকে কিছু একটা নাই হয়ে গেলো। সাঁতার জীবনের একটা অনুষঙ্গ হয়ে পড়লো। সাঁতারের নিয়মিত বন্ধুরা একে অন্যের খোঁজখবর নেয়, আমাদের সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার জল্পনা-কল্পনা চলে। পুকুরের এক মাথা থেকে অন্য মাথা ১০০ মিটার। প্রতিদিন ১ কিলোমিটার, কখনো ২ বা ৩ কিলোমিটার করে সাঁতার কাটা শুরু করলাম। শেষের দিকে এসে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য সময় এবং দূরত্ব দুটোই বাড়িয়ে দিলাম। যে বাংলা চ্যনেলকে নিয়ে এতো প্রস্তুতি আর অনুশীলন, সেই সম্পর্কে অনেকেরই খুব একটা ধারণা নেই। তাই বাংলা চ্যনেল এর শুরুর দিকের কিছু কথা জেনে নেওয়া দরকার।

মূলত বাংলা চ্যনেলের প্রবক্তা হলেন আমাদের দেশের ‘এডভেঞ্চার গুরু’ প্রায়াত হামিদুল হক। বাংলা চ্যনেল সম্পর্কে জানতে হামিদুল হক কেও জানা দরকার। ২০০৬ সাল, প্রথমবার হামিদুল হকের নেতৃত্বে তিনজনের দল সফলভাবে বাংলা চ্যনেল পাড়ি দেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ২০০৭ সালে তাদের দলের সাথে রেস্কিউ টিমে কাজ করার।

বাংলা চ্যানেলের শুরুর কাহিনি জানতে একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। তার আগে জানাই, শাহপরীর দ্বীপ, মানে বাংলাদেশের মানচিত্রে থাকা দক্ষিণে সর্বশেষ মূল ভূখণ্ড থেকে সেন্টমার্টিন- সাঁতারের জন্য এই পথ বেশ উপযোগী। এই সমুদ্রপথই বাংলা চ্যানেল। চ্যানেলটি খুঁজে বের করেছেন কাজী হামিদুল হক। ১৯৯১ সালে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে আসার পর সমুদ্র টানছে হামিদুল হককে। বিদেশি এক বন্ধু পেশাদার ট্রেজার হান্টার তাঁকে বলেছেন, বঙ্গোপসাগরের কোন কোন জায়গায় ডুবে যাওয়া সওদাগরি নৌকা আছে। হামিদুল হক তখন ম্যাপ ধরে শাহপরীর দ্বীপ আর সেন্টমার্টিনের মাঝামাঝি জায়গা চিহ্নিত করেন। সেই বিদেশি বন্ধু হামিদুল হককে বলেছিলেন, ‘এ অঞ্চল থেকে আরাকান উপসাগরের দিকে জেলেরা যেত। মালামাল নিয়ে বাণিজ্য নৌকাও যেত সে সময়। আর সমুদ্রের এ জায়গায় নৌকাডুবিও হতো।’

তখন কিছু জায়গা চিহ্নিত করে হামিদুল হক ডাইভ দেওয়া শুরু করলেন। সাগরের নিচে বেশ কিছু সওদাগরি নৌকাও তিনি পেয়ে গেলেন। কিন্তু এসব জায়গায় পলি জমা হয় বেশি। নৌকা আছে, তবে সেগুলো তিন-চার ফুট পলির নিচে চাপা পড়ে গেছে। তাঁর একার পক্ষে সেসব উদ্ধার করা সম্ভব নয়। গুপ্তধনের কাহিনি এখানেই শেষ। তবে লাভ যেটা হয়েছে, তা হলো, সে সময়টায় প্রচুর সাঁতার কেটেছেন হামিদুল হক। তখনই তার মাথায় আসে শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন সাঁতরে যাওয়া সম্ভব। এরপর নানারকম প্রস্তুতি নিয়ে ২০০৬ সালে ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার সমুদ্রপথে সাঁতারের আয়োজন করেন। পথটার নাম দেন ‘বাংলা চ্যানেল’। এরপর এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার অনেক উদাহরণ তৈরি হয়েছে। এখন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া হয় ১৬ দশমিক ১কিলোমিটার পথ। চ্যনেলটিতে সাঁতার কাটতে হয় জোয়ার ভাটার সময় লক্ষ করে। ভাটার সময় সাঁতার শুরু করে সমুদ্রের স্রোতে গা ভাসিয়ে স্রোতের গতিপথ বুঝে পৌঁছে যেতে হয় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। 

বাংলা চ্যানেলের প্রবক্তা কাজি হামিদুল হক ছিলেন বাংলাদেশের এডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের পরিচিত মুখ। এডভেঞ্চারে মগ্ন তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি ছিলেন একাধারে অভিভাবক, বন্ধু, পথপ্রদর্শক ও অনুপ্রেরণা। ভূতত্ত্ববিদ ও খনি প্রকৌশলী মসির উদ্দিন কাজী ও কাজী রাবেয়া খাতুনের সংসারে চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে চতুর্থ সন্তান কাজী হামিদুল হক ১৯৪৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের আসাম রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নেন। ১৯৬৭ সালে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আর্ট ইনস্টিটিউট অফ বোস্টন থেকে আলোকচিত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৭৪ সালে। সে সময় তিনি বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতেন। স্নাতক করার পর চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে একটা কোর্স করেন নিউইয়র্ক-এ। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ডুবসাঁতারে হামিদের আগ্রহ তৈরি হয়, শিখে ফেলেন অতল জলের বিচিত্র বর্ণিল জগতের ছবি তোলার নানান কৌশল। তিনি ছিলেন সাগরের ২০০ ফুট নিচ পর্যন্ত ডুব দেওয়া লাইসেন্সধারী ডাইভার। 

পশ্চিম ধারায় ও হিপ্পি জীবনধারায় অভ্যস্ত হামিদুল হকের হঠাৎ করে জীবনবোধের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ১৯৮৬ সালে হজ পালনের পর ইসলামী মূল্যবোধ নিয়ে প্রবাসে আহমদ দীদাত, ম্যালকম এক্স ও পীর মুজিবর রহমানের সাথে কাজ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরে তিনি ১০৭ নম্বর আজিমপুর রোডস্থ পুরনো পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি গড়ে তোলেন ‘এক্সট্রিম বাংলা’ নামের সংগঠন। এখান থেকে সাঁতারের আয়োজন ও নানা রকম অভিযান পরিচালনা করতেন, তুলতেন দেশের উপর বৈচিত্র্যময় ছবি। পানির নিচে ছবি তোলায় বাংলাদেশে তাকে পথিকৃৎ বলা যায়। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় তরুণদের সাঁতার ও আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সেন্টমার্টিনে সাগরতলে তিনি প্রবালের ছবি তুলেছেন। প্যানারমিক ছবির ব্যাপারেও ছিল তার ব্যাপক আগ্রহ। ঘুড়িতে ক্যামেরা বসিয়ে ওপর থেকে ঢাকা শহরের ছবি তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। ভালোবাসতেন প্রজাপতি, পাখি ও প্রকৃতি। প্রজাপতির জীবনচক্র নিয়েও কাজ শুরু করেছিলেন। ২০০০ সালে তিনি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশের সর্ব উচ্চতায় অবস্থিত বান্দরবানের প্রাকৃতিক হৃদ বগালেকের গভীরতা নির্ণয় করেন ১৫১ ফুট। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার নেতৃত্বে একটি দল নিয়ে তিনি নৌকায় পাড়ি দেন বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে। ১৩জন অভিযাত্রী নিয়ে হামিদুল হকের এমন অভিযান এই দেশে এই কালে এক অভূতপূর্ব অ্যাডভেঞ্চার অভিজ্ঞতা। 

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত সাঁতারের রুট তিনি খুঁজে বের করার পর ২০০৬ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি তার প্রশিক্ষণ ও উৎসাহে প্রথম এই চ্যনেল পার করেন লিপটন সরকার, সালমান সাইদ এবং ফজলুল কবির সিনহা। এরই ধারাবাহিকতায় তার নেতৃত্বে আরো কয়েকবার এ সাঁতার অভিযান সফলভাবে পরিচালিত হয়। প্রকৃত অভিযাত্রীর মতো নিজের জীবনকে নানা খাতে বইয়ে দিয়েছেন কাজী হামিদুল হক। তারুণ্যের পুরো শক্তি ও উদ্যম ছিল তার মধ্যে আমৃত্যু। ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৬৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি। 

হামিদুল হকের মারা যাবার পরও বাংলা চ্যনেল পাড়ি দেওয়া অব্যাহত রইলো। দেখতে দেখতে ১৭ বছর চলে গেলো বাংলা চ্যনেল জয়ের বয়স। বাংলাদেশে এডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এই সমুদ্রজয় বিশাল একটি প্রাপ্তি এবং অনুপ্রেরণা। ২০২১ সালের ২৫শে ডিসেম্বর আমরা বাংলা চ্যনেল পাড়ি দেয়ার জন্য সমুদ্রে নেমে পড়ি। সেন্টমার্টিন পৌঁছে গিয়েছিলাম ইভেন্টের ৩ দিন আগেই। টেকনাফ থেকে জাহাজে যাওয়ার সময়ে সমুদ্রের ঢেউ দেখে মনে হচ্ছিল এই সাগর আমরা কীভাবে পাড়ি দেব! মনে মনে নিজেকে সাহস দিলাম। আমাদের সঙ্গে এবার সাঁতার কেটে বাংলা চ্যনেল পাড়ি দেবে দশ বছরের লারিসা আর তার পাঁচ বছরের বড়ভাই আরবিন। এতটুকু ছেলে-মেয়ে সাঁতার কাটবে সুতরাং মনোবল আরো দৃঢ় থাকতে হবে। যতই বাঁধা আসুক উতরে যেতে হবে। 

প্রথম দিন সেন্টমার্টিন পৌঁছেই সমুদ্রে সাঁতার কাটার জন্য সবাই অস্থির হয়ে গেলাম। নৌকা ভাড়া করা হলো, মাঝ দরিয়ায় আমাদের নামিয়ে দেবে, এরপর সাঁতরে আরো বেশ কিছু দূরত্ব অতিক্রম করে বিচে ফিরে আসবো। বুকে সাহস নিয়ে গভীর সমুদ্রে যখন জীবনে প্রথমবারের মতো ঝাঁপ দিলাম সে অন্য রকম এক শিহরণ জাগানো অনুভূতি। মনে হলো কঠিন ভয়কে জয় করার মত সাহস দেখিয়ে ফেলেছি।  

আরো পড়ুন: বাংলা চ্যনেলে রুদ্ধশ্বাস সাড়ে চার ঘণ্টা: শেষ পর্ব

জীবনে প্রথম কোন কিছুর অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। গভীর সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে বেশ ভয় লাগছিলো। গভীর জলে কত বিচিত্র প্রাণীর  আনাগোনা, তার সঙ্গে মাথায় ঘুরপাক খায় জল নিয়ে দেখা সিনেমাগুলোর কাহিনী। পানিতে শার্ক ঘাপটি মেরে বসে থাকে, অজানা প্রাণী মানুষকে টেনে নিয়ে যায়। ভেসে ভেসে চলে যায় দূর অজানায়। সঙ্গে পরিচিতজন অনেকেই ছিল, তাই প্রথমদিকে ভয় লাগলেও পরে তা ঠিক হয়ে যায়। যেহেতু একটা নৌকা ছিল তাই শরীরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে লাইফ জ্যাকেট বেঁধে নিয়েছিলাম। আশেপাশের চেনা মুখগুলো দেখে মনে বেশ সাহস হয়েছিল। বিকেলের পড়ন্ত রোদে সাঁতারুরা দলবেঁধে নেমেছি। সাগরের ঢেউগুলো আমাদের উপর আছড়ে পড়ছিল। ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে সাঁতার কেটে সবাই এগিয়ে যাই। সমুদ্রের লোনা পানি মুখে এলে বিপত্তির শুরু, সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তিবোধ আরম্ভ হলো। আমাদের সমুদ্রের লোনা পানিতেই সাঁতার কাটতে হবে তাই খাপ খাইয়ে নিতে যতদূর পারলাম সাঁতার কেটে সামনে এগিয়ে গেলাম। একেকটি স্ট্রোকের পরে দম নেওয়ার জন্য যখন মাথা তুলছি তখন স্নিগ্ধ রোদের আলো মুখে এসে পড়ছিল। সে অন্যরকম এক রোমাঞ্চ জাগানো অনুভূতি। (আগামী পর্বে সমাপ্য)

লেখক: সাঁতার প্রশিক্ষক, সুইম বাংলাদেশ 
 

তারা//

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়