ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

ঢাকার দাপটে উড়ে গেল রাজশাহী

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঢাকার দাপটে উড়ে গেল রাজশাহী

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস ও রানার্সআপ রাজশাহী কিংসের লড়াই। রোমাঞ্চ, উত্তেজনা ছড়ানোর কথা। কিন্তু মিরপুর শের-ই-বাংলা পেল নিষ্প্রাণ এক ম্যাচ।

অবশ্য নিষ্প্রাণ বলা যাবে না, একচেটিয়া লড়াই। যে লড়াইয়ের ‘কিং’ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস। নামে রাজশাহী কিংস হলেও ২২ গজের ক্রিজে ‘কিংসদের’ কোনো দাপট নেই। যদি বলা হয় রাজশাহীকে টি-টোয়েন্টি খেলা শেখাল ঢাকা তাহলেও ভুল হবে না! নয়তো ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে কিভাবে ম্যাচ হারে রাজশাহী?

ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনো কিছুতেই ম্যাচে ছিল না রাজশাহী। এবারের আসরে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকার রান দুইশ অতিক্রম করে। সাকিবের দল ৭ উইকেটে করে ২০১ রান তোলে। জবাবে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহীর ইনিংস।

 



ষষ্ঠ ম্যাচে এটি ঢাকার চতুর্থ জয়। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সবার উপরে রয়েছে তারা। অন্যদিকে ষষ্ঠ ম্যাচে এটি রাজশাহীর চতুর্থ পরাজয়। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

ঢাকাকে শুরুতেই এগিয়ে দেন এভিন লুইস ও শহীদ আফ্রিদি। মাত্র ২৩ বলে দুই হার্ডহিটার দলীয় সংগ্রহে ৫০ রান যোগ করেন। এর মধ্যে ৩৮ রানই আসে লুইসের ব্যাট থেকে। আফ্রিদি হাত খুলে খেলার আগেই তাকে আটকে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণির বিপরীতে খেলতে গিয়ে বল মিস করেন ৮ বলে ১৫ রান করা আফ্রিদি। জহুরুল ইসলাম অমি ১ চার ও ১ ছক্কায় দারুণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু মিরাজের এক লেগ কাটারে বধ আগের ম্যাচের নায়ক।

চারে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ নাদিফ চৌধুরী। হাবিবুর রহমানের সোজা বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হন নাদিফ। একপ্রান্তে ধারাবাহিক উইকেট হারালেও অনপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন এভিন লুইস। ৩৮ বলে দ্রুত ৬৫ রান করেন এ ওপেনার। ১০ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটির ইতি টানেন তরুণ হোসেন আলী। ডানহাতি এ পেসারের শর্ট বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন লুইস। সাকিব বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করে ১১ বলে করেন ১১ রান।

 



পরের গল্পটা কাইরন পোলার্ডের। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা পোলার্ড এ ম্যাচেও মাঠ মাতিয়ে রাখেন। ২৫ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রান করেন ক্যারিবীয়ান দানব। তাকে সঙ্গ দেন কুমার সাঙ্গাকারা। ২২ বলে শ্রীলঙ্কান গ্রেট করেন ২৮ রান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ দুই ব্যাটসম্যান ৬২ রান করেন।

বল হাতে রাজশাহীর সেরা বোলার হোসেন আলী। ৪ ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন এ পেসার। ২টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় রাজশাহী। রাজশাহীর আগের ম্যাচের নায়ক জাকির হাসান বাদে কোনো ব্যাটসম্যানই পারেনি বড় ইনিংস খেলতে। তরুণ জাকির ২৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে ড্যারেন স্যামির ব্যাট থেকে।

 



ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়াতে না পারলেও বল হাতে ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন শহীদ আফ্রিদি। ২২ রানে ২ উইকেট নেন সাকিব। পেসার আবু হায়দার রনি ছিলেন বেশ সাশ্রয়ী। ২.২ ওভারে ১১ রানে বাঁহাতি এ পেসার নেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন এভিন লুইস।

হাই প্রোফাইল দল গড়া ঢাকা আরেকবার নিজেদের শক্তি দেখাল। উদ্বোধনী ম্যাচ হারার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদেরকে। ধারাবাহিকভাবেই পারফর্ম করে যাচ্ছে দলটি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ নভেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়