ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

অধ্যাপক আশরাফ হোসেন: জন্মদিনে শুভেচ্ছা 

মামুন সোহাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  
অধ্যাপক আশরাফ হোসেন: জন্মদিনে শুভেচ্ছা 

অধ্যাপক আশরাফ হোসেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ২৮তম অধ্যক্ষ। তিনি ২০১৩ সালে কলেজটিতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

নীলফামারী জেলা শহরে ১৯৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নীলফামারী সরকারি হাইস্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৯ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স এবং ১৯৮৪ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। 

অধ্যাপক আশরাফ হোসেনের বাবা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন। তিনি নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের আঞ্চলিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন বাবার মুক্তিযুদ্ধের আদ্যোপান্ত জেনেছেন, অনুভব করেছেন। তার মা বেগম সেলিনা হোসেন ছিলেন একজন গৃহিণী।

শিক্ষকতা জীবনে তার রয়েছে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। ১৯৮৯ সালে ৮ম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর একে একে দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন আদর্শ এই শিক্ষক। চাকরিজীবনে তিনি সরকারি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ,  ঢাকার তদানিন্তন জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, লাকসাম নবাব ফয়জুন্নেছা কলেজ এবং কুমিল্লা, পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজে সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষে তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করছেন। প্রথমে সমাজবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করলেও যোগ্যতাবলে তিনি অধ্যক্ষ হন।

করোনার লম্বা ছুটিতে শিক্ষার্থীরা সবাই যার যার বাড়িতে অবস্থান করছেন। অন্যান্য বছরের মতো এবার প্রিয় অধ্যক্ষ স্যারের জন্মদিনে ঝাঁকে ঝাঁকে শিক্ষার্থীরা ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে হাজির হচ্ছেন না অধ্যক্ষের কার্যালয়ে। তবে, রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয় স্যারকে স্মরণ করে স্মৃতিচারণ আর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্যাস্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রিয় মানুষকে স্মরণ করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। 

করোনার পূর্বে কলেজের সামাজিক সংগঠনগুলো নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, এমন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো জোরদার করা বিশেষভাবে দরকার। জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হলে, ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্ত রাখতে হলে সহশিক্ষা কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই। এগুলো খারাপ জিনিস থেকে দূরে রাখে।’ 

‘চেষ্টা করেছি কলেজে শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা এবং এগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন হওয়ার একটা সময় সামাজিক সংগঠনগুলো ছিলই না। যেমন বলতে গেলে আমাদের যেমন সাংবাদিক সমিতি, ডিবেট ক্লাব, শুদ্ধস্বর কবিতা মঞ্চ, বিএনসিসি, স্কাউট পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন তৈরি হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের বিকশিত করবে’, বলেন তিনি। 

লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ। 

ঢাকা/মাহি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়