ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ডিপিডিসির মুস্তাফিজের দুর্নীতি: কার্যালয়ে সাংবাদিক প্রবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৫, ১৫ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ২২:০৬, ১৫ মার্চ ২০২৪
ডিপিডিসির মুস্তাফিজের দুর্নীতি: কার্যালয়ে সাংবাদিক প্রবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’

নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান

অনিয়ম আর বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে বারবার শিরোনাম হওয়া ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)’র বনশ্রী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের সহ্য করতে পারছে না। ডিপিডিসির এই শাখায় তার অনিয়মের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে গণমাধ্যম এড়িয়ে চলছেন তিনি। তার কার্যালয়ে অলিখিতভাবে সাংবাদিক প্রবেশে দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা।

পড়ুন- ডিপিডিসির অনিয়ম: নির্বাহী পরিচালক কি দুর্নীতির পক্ষে?

সম্প্রতি রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীতে শীতল প্রপার্টিজ নামের একটি ১০তলা ভবনে নতুন বিদ্যুৎসংযোগ দিতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিদ্যুৎচাহিদা কম দেখিয়ে ডিপিডিসিকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেন বনশ্রী শাখার এই নির্বাহী প্রকৌশলী। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় ডিপিডিসিতে। এরপরই গণমাধ্যমের প্রতি বিরাগভাজন হন মুস্তাফিজুর রহমান।

পড়ুন- ঘুষ কেলেঙ্কারির ‘উস্তাদ’ মুস্তাফিজের টার্গেট গ্রাহক হয়রানি  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই অফিসে গণমাধ্যমের একজন সার্কুলারকর্মী পত্রিকা দিতে গেলে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাকে মূল ফটকে আটকে দেয় নিরাপত্তাকর্মী সোহেল রানা। এ সময় সোহেল বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশ রয়েছে পত্রিকার কোনও লোক ভেতরে ঢুকতে পারবেন না।’ এ সময় মিডিয়ার ওই সার্কুলারকর্মীর হাত থেকে সব পত্রিকা কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন। এতে বাধা দিলে ওই কর্মীকে নিরাপত্তারক্ষী সোহেল রানা হুমকি-ধমকি দেন।

পড়ুন- টাকা দিলে অনিয়মকে ‘নিয়ম বানান’ মুস্তাফিজ

ডিপিডিসি’র বনশ্রীর ডিভিশনের একটি সূত্র বলছে, এই শাখায় বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন মুস্তাফিজ। সিন্ডিকেটের বাইরে কোনও গ্রাহক টাকা ছাড়া সেবা পান না। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মকসেদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাবুর রহমান, বনশ্রী ডিভিশনের অফিস পিয়ন ফোরকান, কম্পিউটার অপারেটর হাকিম। মূল কাজ বাদ দিয়ে ‘টাকার কাজ’ খোঁজেন তারা।

সম্প্রতি বনশ্রীর রাজ্জাক নামের এক গ্রাহককে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা নেন নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান। গ্রাহক বিদ্যুৎসংযোগ পেতে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু ৬ মাস পার হলেও সংযোগ মেলেনি। নানা অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে সংবাদকর্মীদের ওপর ক্ষেপে যান নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজ।

পড়ুন- ডিপিডিসিতে চক্রান্তকারীরা থেমে নেই!

এ ব্যাপারে ডিপিডিসির বনশ্রী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তাকর্মী আমার কথায় চলে না। তাদের নিয়ন্ত্রণ করে অন্য ডিপার্টমেন্ট। আর আমি সাংবাদিক প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা দিইনি।’

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়