ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রতীকী লাশ নিয়ে হানিফ বাংলাদেশি এখন কুড়িগ্রামে

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৯:০৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রতীকী লাশ নিয়ে হানিফ বাংলাদেশি এখন কুড়িগ্রামে

প্রতীকী লাশ নিয়ে পায়ে হেঁটে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে গেছেন হানিফ

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ ঘাড়ে নিয়ে ঢাকা থেকে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ‘হানিফ বাংলাদেশি’।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়া পৌঁছান তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একক পদযাত্রা শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশি।

কুড়িগ্রামে পৌঁছে প্রথমে প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে  কথা বলেন তিনি। শহরে হোটেলে রাত্রি যাপন করে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানান হানিফ।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি এই সীমান্তেই বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী। ফেলানীর মা-বাবার সঙ্গে হানিফ সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানান।

কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে পদযাত্রা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে কুড়িগ্রামের ফেলানী হত্যা বিশ্ব বিবেককে স্তব্ধ করে দিলেও ভারত এখনও সীমান্তে হত্যা থেকে সরে আসেনি। এ কারণে প্রতীকী লাশ নিয়ে অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছি। আমি ফেলানীদের বাড়িতে যাবো। তার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলব।’

হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম দেশ। বাংলাদেশ ভারতের কাছে মানবিক আচরণ প্রত্যাশা করে। কিন্তু বিএসএফ মাঝে মাঝেই  বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করে। কেউ চোরাকারবারি হলে আইনের আওতায় বিচার করা যেতে পারে। কিন্তু সীমান্তে গুলি করে হত্যা মানবতার চরম লঙ্ঘন।’

হানিফের বাড়ি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার নিয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামে। নোয়াখালী বুলুয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিনি।

বাদশা/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়