ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রায়হানের মায়ের অনশন ভাঙালেন মেয়র আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ২৫ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৮:৩০, ২৫ অক্টোবর ২০২০
রায়হানের মায়ের অনশন ভাঙালেন মেয়র আরিফ

সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের মাকে জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙালেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

রোববার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে সালমা বেগমের অনশন ভাঙান তিনি। এ সময় মেয়র আরিফ দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে রায়হানের পরিবারের পাশে সিলেটবাসী থাকবে বলে ঘোষণা দেন। 

মেয়র বলেন, ‘রায়হান হত্যার বিচারের দাবিতে সিলেট নগরবাসী আপনাদের সঙ্গে আছেন। আমরাও আপনাদের সঙ্গে আছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই আকবর ও অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবো।’ 

এর আগে বেলা ১১টা থেকে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন রায়হানের মা সালমা বেগম এবং তার স্বজনরা। অনশনস্থলে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। এ সময় রায়হানের মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ফাঁড়িতে জানোয়ারের মতো আমাদের আদরের ধন রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে তাকে হারিয়েছি, সেখানেই আমরণ অনশন শুরু করেছি।  এসআই আকবরসহ সকল আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবেই।’
 
গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসআই আকবরসহ  অভিযুক্ত সকলকে গ্রেপ্তারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন রায়হানের মা সালমা বেগম।  এ আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ফের তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  এ কর্মসূচি শনিবার শেষ হয়। এরপর আজ অনশনে বসেন তিনি।

গত ১১ অক্টোবর  ভোরে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।  ওই ফাঁড়ির ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্ত করছে পিবিআই।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন. ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদ।  আর প্রত্যাহার হওয়া তিনজন হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশীক এলাহী, কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন।

এছাড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ সাময়িক বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবরকে পালাতে সহায়তা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ গত বুধবার (২০ অক্টোবর) ফাঁড়ির এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন, আর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে দুইজনকে।  আর অন্যরা পুলিশের হেফাজতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে আছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 

নোমান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়