ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে দেখা মিললো নীল নাচের দল 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ১৩ এপ্রিল ২০২২   আপডেট: ১২:৫২, ১৩ এপ্রিল ২০২২
ঝালকাঠিতে দেখা মিললো নীল নাচের দল 

নীল নাচের একটি দল

চৈত্র শেষ হলেই আসছে নতুন বছর। বাংলার নতুন বছরের আগমনকে কেন্দ্র করে গ্রাম বাংলায় শুরু হয়ে গেছে নানা উৎসব আয়োজন। চৈত্র সংক্রান্তি আর বৈশাখী মেলা আবহমান বাংলার চিরায়ত উৎসব। 

বাংলা সালের পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আদিকাল ধরে চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব পালন করা হয়। এই চৈত্র সংক্রান্তির অন্যতম উৎসব হলো সনাতন ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী নীল পূজা। আর এ নীল পূজায় নীল নাচ ঐতিহ্যের উৎসব হিসেবে পরিচিত যা আজ বিলুপ্ত প্রায়।

তবে গত দুই বছর পর এবার ঝালকাঠিতে দেখা মিলল নীল নাচের দল। নীল নাচ দেখতে কৌতুহল আর আগ্রহ দেখা দেয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। এক সময় হিন্দু ধর্মীয় দেবতা রাঁধা-কৃষ্ণসহ বিভিন্ন দেব দেবীর আকৃতিতে নিজেদের সাজিয়ে গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির আঙিনায় নীল নাচে মুখরিত হত।

জানা গেছে, পুরো চৈত্রমাস জুড়ে শীব-গৌড়ি আর রাধা-কৃষ্ণ সেজে নীল নাচের দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেচে গেয়ে অর্থ ও চাল-ডাল সংগ্রহ করতেন। আর তা দিয়ে চলতো পূজা। হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করেন, দেবতা শীব এ সময় কৈলাস পর্বত থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন। নীল নাচের দলের মধ্যে মিশে তিনি সবার মঙ্গল করেন। তবে বিশ্বাস যাই হোক, এক সময় জাতি-ধর্ম নিবিশেষে এ উৎসবে সামিল হত সবাই। কিন্তু কালের আবর্তে আজ হরাতে বসেছে প্রাচীন এ সংস্কৃতি। 

তবে বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঝালকাঠি শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলেছে নীল নাচের দলের। ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে এক সময় ২০টিরও বেশি নীল নাচের দল এ উৎসব আয়োজন করত। এখন মাত্র একটি দল সংক্ষিপ্ত ভাবে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। 

নীল নাচের দলের শঙ্কর মন্ডল বলেন, ‘আগে পুরো চৈত্র মাস জুড়ে বিভিন্ন স্থানে আমরা নীল নাচতাম। এর মাধ্যমে আমরা ধর্ম প্রচার করতাম। গত দুই বছর করোনার কারণে এই নীল নাচ বন্ধ ছিল। এ বছর করোনার প্রভাব কম থাকায় আমরা নীল নাচ আবারো শুরু করেছি।’ 

ঝালকাঠির কলতান সংগীত একাডেমির সভাপতি সুভাষ বিশ্বাস বলেন, ‘এ সংস্কৃতি মানুষের মধ্যে সম্পৃতি আর প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে। আমাদের ঐতিহ্য  টিকিয়ে রাখতে এদের পৃষ্টপোসকতা করা দরকার।’ 

অলোক/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়