শিবপুরে চেয়ারম্যানকে গুলি: মামলা দায়ের

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়। এদিকে, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গতকাল রোববার রাতে শিবপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন আহত চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান। 

আরও পড়ুন: শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি: ৪ জন আটক

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে মো. মহসিন মিয়া (৪২), পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার সুরুজ মোল্লার ছেলে ইরান মোল্লা (৩০), মুনসেফেরচর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাকিল (৩৫), কামারগাঁও এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩২) ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার ড্রাইভার নূর মোহাম্মদ (৪৮)।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা এলাকার একটি মসজিদের অনুদান নিতে এসেছেন জানিয়ে ফোন করে চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে বাসার দরজা খুলতে বলেন। পরে তারা বাসায় প্রবেশ করে। এসময় হারুনুর রশিদ তাদের বসতে বলে আপ্যায়নের জন্য পাশের কক্ষের দিকে ঘুরলে পেছন থেকে ৩ জন গুলি করেন। এতে চেয়ারম্যান পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে আসামিরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। 

আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তদের গুলিতে শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আহত

ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ হয়েছে। দ্রুতই গুলির প্রকৃত কারণ জানা ও জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা যাবে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে উপজেলা সদরের বাজার সড়কের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ খান। তিনজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাকে পরপর ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় বলে সেসময় জানা গিয়েছিল। বর্তমানে হারুনুর রশিদ খান ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।