ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

বরিশালে কোটি টাকার বেশি আয় ৬ প্রার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩  
বরিশালে কোটি টাকার বেশি আয় ৬ প্রার্থীর

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার ছয়টি আসনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আছেন ৪৫ জন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে ৬ জনের বাৎসরিক আয় কোটি টাকার বেশি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিল করা হলফনামার তথ্যানুযায়ী, এই ৪৫ জনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার কম বাৎসরিক আয় ১৩ জনের।

হলফনামার তথ্যানুযায়ী, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বাৎসরিক আয় সোয়া ৪ কোটি টাকারও বেশি। এই আসনে জাতীয় পার্টির ছেরনিয়াবাত সেকান্দার আলীর বাৎসরিক আয় প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকা এবং এনপিপির মো. তুহিনের আয় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। 

আরো পড়ুন:

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুসের বাৎসরিক আয় ১১ লাখ টাকা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের আয় প্রায় সাত লাখ টাকা, একই দলের অপর প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলামের আয় প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা। 

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাসের আয় প্রায় ১১ লাখ টাকা, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেনের আয় প্রায় ৮৪ লাখ টাকা। জাতীয় পার্টির অপর প্রার্থী রজিত কুমার বাড়ৈর আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা, জাকের পার্টির স্বপন মৃধার আয় প্রায় সোয়া ৪ লাখ টাকা, তৃণমূল বিএনপির মো. শাহজাহান সিরাজের আয় সাড়ে তিন লাখ টাকা, এনপিপির সাহেব আলীর সাড়ে ২৭ লাখ টাকার বেশি, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হকের আয় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। মো. মনিরুল ইসলামের বাৎসরিক আয় সোয়া ১৯ লাখ টাকা।

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরদার মো. খালেদ হোসেনের স্বপনের বাৎসরিক আয় ২৫ লাখ ২৯ হাজার টাকার বেশি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের আয় প্রায় সাত লাখ টাকা এবং একই দলের অপর প্রার্থী টিপু সুলতানের আয় প্রায় সোয়া ১০ লাখ টাকা। এই আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর আয় প্রায় ১৯ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আজমুল হাসান জিহাদের সাড়ে ৩ লাখ, তৃণমূল বিএনপির শাহানাজ হোসেনের তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চুর প্রায় সোয়া ১৮ লাখ টাকা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হকের আয় প্রায় দুই কোটি টাকা এবং মো. আতিকুর রহমানের প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা আয়। 

বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমানের বাৎসরিক আয় কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু হলফনামায় বাৎসরিক আয়ের কথা উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের বাৎসরিক আয় ৪৩ লাখ টাকার কিছু বেশি।

বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের বাৎসরিক আয় দেড় কোটি টাকার বেশি। জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেনের আয় প্রায় ৮৪ লাখ টাকা, জাকের পার্টির মো. আবুল হোসাইনের প্রায় ১০ লাখ টাকা, এনপিপির আব্দুল হান্নানের প্রায় ৩৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আসাদুজ্জামানের তিন লাখ টাকা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেনের প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাৎসরিক আয় সাড়ে ২০ লাখ টাকা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাহউদ্দিন রিপনের হলফনামায় বাৎসরিক আয়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাফিজ মল্লিকের বাৎসরিক আয় প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ টাকা, জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্মার সাড়ে ৩০ লাখ টাকা, তৃণমূল বিএনপির টি এম জহিরুল হক তুহিনের সাত লাখ টাকার বেশি আয়। এনপিপির মো. মোশারফ হোসেনের আড়াই লাখ টাকা, জাসদের মোহম্মদ মোহসীনের সাড়ে ছয় লাখ টাকা, জাকের পার্টির মো. হুমায়ুন কবির সিকদারের আয় এক লাখ টাকা। এ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মাইনুল ইসলামের আয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজিব আহম্মদ তালুকদারের আয় প্রায় ২০ লাখ টাকা, মো. শাহবাজ মিঞার আয় ৫ লাখ টাকা, মো. কামরুল ইসলাম খানের আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা, খান আলতাফ হোসেনের আয় প্রায় ১২ লাখ টাকা।

আরিফুর/মাসুদ

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়