ঢাকা     রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

শিশুর মৃত্যু: নানির ধারণা ভূতে মেরেছে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২১:৩৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিশুর মৃত্যু: নানির ধারণা ভূতে মেরেছে

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আফিফা খানম (৭) নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নানি লাকি বেগমের বিরুদ্ধে। তবে, অভিযুক্ত নানির ধারণা, শিশুটিকে ভূতে হত্যা করেছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আফিফা উপজেলার কুরপালা গ্রামের আসলাম শিকদারের মেয়ে ও ২৭ নং বান্ধাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে বান্ধাবাড়ি গ্রামে তার নানি লাকি বেগমের কাছে থেকে পড়ালেখা করতো।

মারা যাওয়া শিশুর বাবা আসলাম শিকদার বলেন, ১০ বছর আগে আমি বান্ধাবাড়ি গ্রামের মৃত আক্তার খানের মেয়ে খাদিজা বেগমকে বিয়ে করি। বিয়ের পর সে প্রায়ই বাবার বাড়ি থাকতো। এরই মধ্যে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়। আমার কন্যা সন্তানটির বয়স যখন ৫ বছর তখন আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম বিভিন্ন জনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২ বছর আগে খাদিজা বেগম আমাকে তালাক দিয়ে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। এরপর আমার মেয়ে আফিফা খানম তার নানি লাকি বেগমের কাছে থেকে পড়ালেখা করতো। আমি প্রতিনিয়ত আমার মেয়ের খোঁজখবর নিতাম ও পড়ালেখার খরচ দিতাম। ধারণা করছি, আমার মেয়ে আফিফাকে তার নানি হত্যা করেছে।

আসলাম শিকদারের বড় ভাই শিক্ষক লিটন শিকদার বলেন, আমরা প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারি আফিফা মারা গেছে। এখানে আসার পর লাকি বেগম আমাদের বলেন, গত রাতে আফিফাকে ভূতে মেরে ফেলেছে। আমাদের ধারনা, আমার ভাতিজি আফিফাকে তার নানি গলা টিপে হত্যা করেছে। আফিফার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

অভিযুক্ত নানি লাকি বেগম বলেন, গত রাতে বাথরুমে গিয়ে আফিফা চিৎকার দেয়। আমি দরজা খুলে আফিফাকে ঘরে নিয়ে আসি। ঘরে এনে আফিফার গলায় দাগ দেখতে পাই। এরপর আফিফাকে নিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে আফিফাকে মরা দেখতে পাই। আমার ধারণা, আফিফাকে ভূতে মেরে ফেলেছে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, আফিফা খানমের মরহেদ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়