ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

সংকটাপন্ন দেলোয়ারকে নেওয়া হলো আইসিইউতে

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২৩:০১, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
সংকটাপন্ন দেলোয়ারকে নেওয়া হলো আইসিইউতে

দেলোয়ার হোসেন

নাটোরে অপহরণের পর প্রচণ্ড মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেনের (৪৫) শারীরীক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। আইসিইউতে নেওয়ার আগে, সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত দেলোয়ার হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অচেতন অবস্থায় ছিলেন।

দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পারশা গ্রামে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ সোমবার নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের অনুলিপি জমা দিতে গেলে প্রধান ফটক থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

আরও পড়ুন: নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর ভাইকে অপহরণ

এর আগে সকালে একই স্থান থেকে তাঁর বড় ভাই ও কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুন্সিকে তুলে নেওয়া হয়। জামানতের টাকা ব্যাংকে জমা দিতে কোড নম্বর জানার জন্য তারা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। পরে সকালেই এ দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর প্রচণ্ড মারধরের পর বিকেলে দেলোয়ার হোসেনকে একটি মাইক্রোবাসে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: নাটোরে অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা 

সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করা প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল ও তার কর্মীরা এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত বলে স্বজনেরা দাবি করেছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে শুধু লুৎফুল হাবিবই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। অপহরণের শিকার হলেও দেলোয়ারেরও মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল হয়েছে।

হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেনকে আনেন তার ছোট ভাই এমদাদুল হক ও চাচাতো ভাই আসের উদ্দিন। তারা জানান, তুলে নিয়ে প্রচণ্ড মারধরের পর দেলোয়ারকে একটি মাইক্রোবাসে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই মাইক্রোবাসে করেই তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলও তার কর্মীরা এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত। 

অভিযুক্ত লুৎফুল হাবিব রুবেল এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
 
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ বলেন, রাত ৮টায় দেলোয়ারকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর তাকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারীরীক অবস্থা খুব খারাপ দেখে চিকিৎসকেরা আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। আইসিইউতে সিরিয়াল পড়েছিল ১২। তিনি তাঁর অধীনে থাকা আইসিইউর একটি বেড দেলোয়ারকে দিয়েছেন। দেলোয়ারের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন।

কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়