চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে ১৩শ বিঘা ফসলের ক্ষতি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে প্রায় ১৩ শত বিঘা ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোপা আমন ও আউশ ধানের ক্ষেত।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য জানায়।
সাগরে লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অতিবৃষ্টির কবলে পড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ফলে নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে ৩২২ বিঘা জমির আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমন ধান ৬৩৫ বিঘা ও ৩৪০ বিঘা জমির শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে। ফলে এবারের বর্ষা মৌসুমের অতিবৃষ্টিতে ১ হাজার ২৯৭ বিঘা জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাচোল, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলার কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ আবাদী জমি তলিয়ে গেছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান, আউশ ধানসহ বিভিন্ন জাতের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে পেঁপে, মরিচ, কুমড়া ইত্যাদি শাকসবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলের পানিতে ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, এ বছর প্রায় ৫ একর জমিতে ফসল আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে জমি আবাদ করেছেন।
নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কৃষক ইউসুফ আলী জানান, এ বছর ৭৫ শতাংশ জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেন। এতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। পুরো ক্ষেত এখন পানিতে ভাসছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে জেলায় অতিবৃষ্টি শুরু হয়। এতে জেলার রোপা-আউশ ধান ও শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে আগামীতে বৃষ্টি না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আর বাড়বে না।
ঢাকা/শিয়াম/বকুল