ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সারা দেশে প্রতীকী ম্যারাথন

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ১৮ জুলাই ২০২৫  
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সারা দেশে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুক্রবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাইজিংবিডি ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানিয়েছেন বিস্তারিত।

রাজশাহী
সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী ম্যারাথন উদ্বোধন করেন জুলাই আন্দোলনের শহীদ সাকিব আনজুমের বাবা মাইনুল হক।

আরো পড়ুন:

এ সময় তিনি বলেন, “জুলাইয়ের যে চেতনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম, সেটিই আমাদের চলার প্রেরণা। যারা আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, তাদের যে মনের বাসনা, তা বর্তমান ও আগামী সরকার এবং প্রশাসন নিশ্চয়ই বাস্তবায়ন করবে, আমি এ আশাই করি।”

উদ্বোধন উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, শহীদ মিনারুল ইসলামের স্ত্রী নূরেসান খাতুন শম্পা এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক এ টি এম গোলাম মাহবুব।

ম্যারাথনটি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিঅ্যান্ডবি মোড় হয়ে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

শেরপুর
সকালে শেরপুর শহরের তিনআনি বাজার কলেজ মোড়ে শহীদ মাহবুব চত্বর থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। এটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মাধবপুর পৌর পার্ক সংলগ্ন নির্মাণাধীন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়।

ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মিজানুর রহমান ভুঁইঞা, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ বি এম মামুনুর রশীদ পলাশ, জেলা জামায়াতের আমির মো. হাফিজুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মামুনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এতে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, ক্রীড়াবিদ ও সুধীজনরা অংশ নেন।

বান্দরবান 
ভোর ৫টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। ম্যারাথনটি মেঘলা পর্যটন এলাকা হয়ে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে প্রায় ৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

প্রতিযোগিতায় ৬০ জন নারী ও ১১০ জন পুরুষ দৌড়বিদ অংশ নেন। নারীদের মধ্যে প্রথম হন ঞাইচিং মার্মা, দ্বিতীয় অনিমা তংচঙ্গ্যা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন উবামে মার্মা। পুরুষদের বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন আব্দুল্লাহ আল নোমান, দ্বিতীয় পার্থ রুদ্র ও তৃতীয় হন আথুইমং মারমা। এছাড়াও ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী নারী বিভাগের ১০ জন এবং পুরুষ বিভাগের ২০ জন ক্রীড়াবিদকে ক্রেস্ট ও মেডেল দেওয়া হয়।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু তালেব, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. এনায়েত করিম, মো. আসিফ রায়হান, সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদ বান্দরবানের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বাবুল, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

কুষ্টিয়া
সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান। দৌড়টি চৌড়হাস পিবিআই মোড় ঘুরে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে ম্যারাথন শেষ হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। 

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে ২৫ জনকে মেডেল ও সনদ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রোকন উজ্জামান, এনডিসি জাহিদ হাসান, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।

বাগেরহাট
সকালে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে দড়াটানা সেতু টোল প্লাজা থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান। প্রতিযোগীরা শহররক্ষা বাঁধ হয়ে শহীদ মিনার অতিক্রম করে দৌড়ে পৌঁছান স্বাধীনতা উদ্যানে। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত এ ম্যারাথনে শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।

দীর্ঘ দৌড়ের পর সেরা দশ প্রতিযোগীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্বাধীনতা উদ্যানে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আরিফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের, জেলা ক্রীড়া অফিসার হুসাইন আহমাদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাম হোসেন।

চট্টগ্রাম
সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতীকী ম্যারাথন সম্পন্ন হয়। সাধারণ শিক্ষার্থী, জুলাই যোদ্ধা, ক্রীড়াবিদ, সামাজিক সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৬৫০ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নেন।

ম্যারাথনের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি
সকালে খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা। এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

চেঙ্গী স্কয়ারে শুরু হওয়া ম্যারাথনটি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। ৫ কিলোমিটারের এ প্রতীকী ম্যারাথনে জুলাই যোদ্ধা, ছাত্র-যুবক, সরকারি কর্মকর্তা, ক্রীড়াবিদসহ তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন। পরে অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার ও মেডেল তুলে দেন অতিথিরা।

ঢাকা/কেয়া/তারিকুল/চাইমং/কাঞ্চন/শহীদুল/রেজাউল/রূপায়ন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়