মৌলভীবাজারে বিষটোপে ৪৫০ হাঁসের মৃত্যু
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
মারা যাওয়া হাঁসের পাশে বসে কাঁদছেন খামারি চেরাগ আলী
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিষটোপ খেয়ে এক খামারির ৪৫০টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার (১৩ নভেম্বর) উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর পাড়ের গবিন্দপুর গ্রামে হাঁসগুলো মারা যায়। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়া খামার মালিক চেরাগ আলী জানান, হাঁস মারা যাওয়ায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তার অভিযোগ, দুশমনের দেওয়া বিষটোপ খেয়েই মারা গেছে তার হাঁস।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সরেজমিনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় চেরাগ আলীর। তিনি জানান, প্রতিদিন সকালে হাওরে হাঁস ছাড়তেন। সারাদিন হাঁসগুলো হাওরের বিস্তৃর্ণ জলাভূমিতে ঘুরে বেড়াত। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরত।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালেও হাঁস ছেড়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পর খবর পেয়ে গিয়ে দেখেন, হাঁসগুলো মরে পড়ে আছে জমির আইলে। এ দৃশ্য দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার অভিযোগ, জাওরবিল জলাশয়ের ধারে দুশমনের দেওয়া বিষটোপ খেয়েই মারা গেছে তার হাঁস।
স্থানীয়রা জানান, চেরাগ আলী প্রায় ১৪ বছর ধরে হাঁস পালন করছেন। তার খামারে দেশি প্রজাতির ৭০০ হাঁস রয়েছে। বৃহস্পতিবার জমিতে মরে পড়ে ছিল সাড়ে ৩০০ হাঁস। বাড়িতে আনার পর মারা যায় আরো একশটি হাঁস।
স্থানীয়দের দাবি, যেখানে হাঁসগুলো মারা গেছে, সেখানে পরিযায়ী পাখি আসে না। তাদের ধারণা, ইচ্ছে করেই হাঁস নিধনের জন্য বিষটোপ দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেশী এমরুল ইসলাম বলেন, “হাঁস মারা যাওয়ায় চেরাগ আলী অসহায় হয়ে পড়েছেন।”
আতিক মিয়া বলেন, “হাঁস ছিল চেরাগ আলীর সংসারের ভরসা। এ ঘটনায় সন্দেহের তীর তার প্রতিবেশী একজনের দিকে। তবে, তদন্তে বোঝা যাবে প্রকৃত দোষী কে? এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন না চেরাগ আলী।”
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, “এ ঘটনার কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ