ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ডাকসু জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ২১:২৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসু জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে: ঢাবি উপাচার্য

তিন কারণে এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

তিনি বলেছেন, “তিনটি কারণে এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, যা ধীরে ধীরে জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ডাকসুর সক্রিয়তা সরাসরি সম্পর্কিত। তৃতীয়ত, এই নির্বাচন বিভিন্ন অংশীজনকে একত্রিত করেছে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করেছে।”

আরো পড়ুন:

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আগামীকাল মঙ্গলবার বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। ১১ মাসের দীর্ঘ প্রস্তুতি, হাজারো শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা আর নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। ডাকসুকে ঘিরে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, ভলান্টিয়ার টিমসহ সবাই মাঠে রয়েছে। তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।”

তিনি আরো বলেন, “এবারের ডাকসু নির্বাচন নানাদিক থেকে ব্যতিক্রমী। প্রথমবারের মতো প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী একসঙ্গে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এবার বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১০টিতে, যেখানে অতীতে ছিল মাত্র ২০০ থেকে ২৫০টি বুথ। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আয়োজন।”

উপাচার্য বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়েও কোনো অভিযোগ নেই। এবার দায়িত্বে আছেন সর্বজনস্বীকৃত গ্রহণযোগ্য শিক্ষকেরা। এছাড়া প্রার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্রের ফলাফল গণনার সময় সরাসরি ডিসপ্লেতে দেখানো হবে।”

প্রার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, “ডাকসু একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র আটবার এই নির্বাচন হয়েছে। অনেক প্রশাসন এমন আয়োজন করতে আগ্রহী থাকে না। কিন্তু আপনারা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিতুন বা হারুন, সেটিই হবে আপনাদের বড় অবদান। তাই একে অপরের প্রতি সহনশীল হোন।”

“হার-জিত যাই হোক, আমাদের মধ্যে এমন কিছু নেই, যাতে বড় কোনো সংঘাত তৈরি হয়। তবুও কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে, তবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” -যোগ করেন নিয়াজ আহমদ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়