ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

১২ বিঘায় মোড়ানো কিছু স্বপ্ন

আসমাউল মুত্তাকিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৬, ১০ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১২ বিঘায় মোড়ানো কিছু স্বপ্ন

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। ঢাকা শহরে ফাঁকা জায়গা খুবই কম, এটা আমাদের সবারই জানা। তবুও প্রতিটি মুহূর্তে এই শহরের নিঃশ্বাস ফেলার জায়গাটুকুও দখলে নিতে আমরা কার্পণ্য করি না।

যাইহোক, ঢাকার ভিতরে অবস্থিত বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের সামান্য জায়গাকে পুঁজি করে গড়ে ওঠেছে। ফলে সেখানে তারা শিক্ষার কার্যক্রম চালানোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা পাচ্ছে না। ফলে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জায়গা দিতে অপারগ হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। নেই ক্লাস শেষে রুম থেকে বের হয়ে আড্ডা দেয়ার জায়গা, নেই প্রকৃতি। কী করে তারা গাছ রোপণ করে সবুজের ব্যবস্থা করবে? কী করে আমাদের প্রজন্মদের প্রকৃতির সান্নিধ্য দেবে? অথচ প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবে প্রিয় প্রতিষ্ঠানের আঙিনায়।

তবে যারা শিক্ষার সাথে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চান, তাদের বলবো এমন প্রতিষ্ঠানের কথা, যাদের শহরের ক্যাম্পাসের সাথে শহরের বাইরে প্রকৃতির মাঝে মূল ক্যাম্পাস রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা হচ্ছে, শহরে যেসব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস শহরের বাইরে করতে হবে। আর এপর্যন্ত যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস শহরের বাইরে রয়েছে, তাদের মধ্যে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অন্যতম।

দেশের প্রায় বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্লাশ হয়। এর মাঝে হালকা বিরতি। সারা দিন ক্লাস করে যখন শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত, তখন তারা চান প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে।

আর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসটি হলো তাদের জন্য। এর প্রধান ক্যাম্পাস ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় অবস্থিত। যা সুবুজ অরণ্য নির্ভর ১২ বিঘা জমির উপর নির্মিত হয়েছে। আর এখানে প্রতিদিন লালিত হয় হাজারো স্বপ্ন ঘেরা কিছু অঙ্কুর।

ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে শুরুতে এক পাশে রয়েছে ফুলের বাগান। এই বাগানে রয়েছে গোলাপ, সূর্যমুখী, স্বর্ণলতা, রজনীগন্ধা এবং বেলি ফুলের নজরকাড়া সৌন্দর্য। ফুলগুলো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। এসব ফুলের গন্ধে ভরে গেছে মানারাতের সবুজ ক্যাম্পাসটি। কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হতে পারে ফুলের সুবাসে মুখরিত মানারাত।

পিচ ঢালা রাস্তায় একটু অগ্রসর হলে পাশে লেপটে থাকা লাল ফুলগুলো দেখলে মনে হবে শিক্ষার্থীদের লালগালিচায় অভ্যর্থনা জানাতে অধীর আগ্রহে পথ চেয়ে বসে আছে এই বাগানের ফুলগুলো।

একটু সামনের দিকে পা বাড়ালে একটি বিশাল মাঠ। মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা হয়। ক্লাসের ফাঁকে বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয় এই মাঠটি।

চলে আড্ডা, সাথে দুষ্টুমি আর খুনসুটি। মাঠের একপাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যা গ্রীষ্মের সময় ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের ছায়া দানে ব্যস্ত থাকে। পাখ-পাখালির কলরবে মুখরিত থাকে সবুজ ক্যাম্পাসটি। চারপাশে আরও রয়েছে সবুজ গাছ। একটু সামনের দিকে পা বাড়ালে ডানে-বামে ও সামনের দিকে সুউচ্চ প্রশাসনিক ভবন। দূর থেকে ক্যাম্পাসটি দেখে আপনার মনে হতে পারে যেন কোনো শিল্পীর সুনিপুণ ছোঁয়ায় আঁকা চিত্রকর্ম।

সুন্দর এই দৃশ্য দেখতে হলে চলে আসতে হবে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে। প্রাকৃতিক ও নান্দনিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। নিরিবিলি শান্ত স্নিগ্ধ এই ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের গর্বের শেষ নেই। বলা যায়, সুন্দর পরিবেশে প্রকৃতির ছোঁয়ায় চির সবুজে ঘেরা মানারাতের ক্যাম্পাস।

লেখক: শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।


মানারাত/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়