ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চীনে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা

মো. মঈন উদ্দিন সাব্বির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ১৯ মে ২০২১   আপডেট: ১৩:৪২, ১৯ মে ২০২১
চীনে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা

উচ্চশিক্ষা অর্জনে আমাদের জীবনে কতই না স্বপ্ন থাকে! সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাই। কেউবা সফল হই, কেউ হই না। তাই বলে কারো পথচলা থেমে থাকে না। ছোটদের অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও? কেউ বলেন ডাক্তার, কেউ বলেন ইঞ্জিনিয়ার, কেউবা বলেন পছন্দের কোনো পেশা। তবে, স্বপ্ন পূরণে শেষ পর্যন্ত কার ইচ্চাশক্তি কতটা প্রবল, সেটাই দেখার বিষয়।

আজকের পর্বে রয়েছে একজন শিক্ষার্থীর গল্প, যিনি উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে গিয়েছিলেন চীন দেশে, পূরণ করেছেন নিজ স্বপ্ন। সালভি মিহরান মুহিব, পেশায় একজন ডাক্তার। কাজ করছেন দেশের নামকরা একটি হাসপাতালে সহকারী সার্জন হিসেবে। একাডেমিক জীবনে ডিগ্রি অর্জন করেছেন চীনের হেনান প্রদেশের ঝেংজাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে উঠে এসেছে চীনে থাকাকালীন তার জীবনের অভিজ্ঞতা ও গল্প। চলুন শোনা যাক সেগুলো- 

রাইজিংবিডি: আপনাকে স্বাগতম, কেমন আছেন?

মুহিব: ধন্যবাদ। জি, ভালো আছি। একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে, যেহেতু হাসপাতালে সেবা দিতে হয় প্রতিনিয়ত।

রাইজিংবিডি: আপনার চীন যাত্রা ও শিক্ষাজীবন নিয়ে যদি বলতেন?

মুহিব: আমি উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করি নটরডেম কলেজ থেকে ২০১২ সালে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি, তবে সুযোগ হয়নি। তাই ভর্তি হয়ে যাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সত্যি বলতে আমার মন বসছিল না সেখানে। তাই  কিছু দিন পর পরিবর্তন করে চলে এলাম ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে মন বসেছিল বলা যায়, পড়ালেখার পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলাম। মোটামুটি ভালোই চলছিল। এরই মাঝে  কিছু দিন পর একবন্ধু জানালো চীনের বিখ্যাত ঝেংজাও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল বিভাগে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। আমাকে জিজ্ঞেস করলো আবেদন করবো কিনা। কারণ, সে আগ্রহী ছিল তখন। আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম কী করবো ভেবে। বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাপ করলাম, উনারা অভয় দিলেন।  তাই অ্যাপ্লাই করে ফেললাম। 

রাইজিংবিডি: আপনার পড়ালেখায় তো গ্যাপ হয়েছিল, এমন পরিস্থিতিতে মানসিক অবস্থা কেমন ছিল? 

মুহিব: বেশ হতাশা কাজ করেছে তখন। জীবন থেকে তত দিনে সবমিলিয়ে দুইয়ের অধিক বছর কেটে গিয়েছিল। আমার বন্ধুরা এবং সমসাময়িক ক্লাসমেটরা অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিল তত দিনে। বিমর্ষ হইনি, তা নয়, তবে জীবনে ভালো কিছুর অপেক্ষায় ধৈর্য ধরে ছিলাম। পরিবারের সদস্যরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন।   

রাইজিংবিডি: তারপর? 

মুহিব: জানিয়ে রাখা ভালো, চীনে এমবিবিএস ডিগ্রির জন্য জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে সার্কুলার ছাড়া হয়। আমি এজেন্সির মাধ্যমে জুলাই সেশনের জন্য অ্যাপ্লাই করেছিলাম। অ্যাপ্লাই করার পরও শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে ১-১.৫ বছর অপেক্ষা করার মানসিকতা থাকা জরুরি। কারণ, এটি বেশ সময়সাপেক্ষ কাজ।  আমার ক্ষেত্রে বেশ সময় লেগেছিল, তবে অফার লেটার পাওয়ার পর আর বেশি দেরি করিনি। দ্রুতই চীনা এম্বাসিতে যোগাযোগ করি, ভিসার জন্য আবেদন করি। ভাগ্য ভালো থাকায় এক সপ্তাহ পরেই ভিসা পেয়ে যাই। আমি, আমার বন্ধু এবং তার পরিচিত একজন একত্রে আবেদন করেছিলাম। তিনজনই একত্রে উড়াল দেই চীনের উদ্দেশ্যে। প্রায় ১৬ ঘণ্টার ট্রানজিট শেষে আমরা গন্তব্যে পৌঁছাই। 

রাইজিংবিডি: কেমন ছিল আপনার শুরুর দিকের অভিজ্ঞতা?

মুহিব: অভিজ্ঞতা বলতে, চীনে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, তা হচ্ছে ভাষাগত তারতম্য। এয়ারপোর্টে বড়জোর ১০ জনকেও খুঁজে পাইনি, যিনি ইংরেজিতে কথা বলেন। সবাই একে-অপরের সঙ্গে চাইনিজ ভাষায় কথা বলছিলেন। কিছু জিজ্ঞেস করেও কোনো উত্তর পাচ্ছিলাম না, তারাই বা কী বলছে সঠিক বুঝতে পারছিলাম না। তবে আমার বন্ধুর পরিচিতজন চাইনিজ ভাষা জানতেন, তিনিই আমাদের হয়ে কথা বলেছেন। তিনি না থাকলে কি যে হতো আমাদের! 

রাইজিংবিডি: পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সমস্যা হয়নি? 

মুহিব: সেখানকার আবহাওয়া বেশ চমৎকার। পরিবেশ বেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন থাকায় সবকিছুই আরামদায়ক। চীনে যাওয়ার কিছু দিন পর পরই  শীতকালের  ধাক্কা খাই, সেদেশে শীতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ে। দেশে থাকতে এমন ঠাণ্ডায় আমি অভ্যস্ত ছিলাম না, তাই কষ্ট হয়েছিল। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার পাশাপাশি ডিসেম্বর ও জানুয়ারির দিকে স্নো পড়ে একাধিকবার। ফেব্রুয়ারির মাসটা ছুটি থাকে শিক্ষার্থীদের জন্য। এই মাসে অনেকে দেশে চলে গেলেও আমি আসতাম না। চারপাশ ঘুরে বেড়াতাম, প্রকৃতির রঙ উপভোগ করতাম। 

চীনে বসন্তের সময়টা বেশ চমৎকার। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এত মনোমুগ্ধকর হয় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। নিজ চোখে দেখে আর অনুভূতি করেই সে তৃপ্তিবোধ করা সম্ভব। তবে গ্রীষ্মকালের অভিজ্ঞতা তেমন সুখকর ছিল না। গ্রীষ্মের শুরুতে প্রথম দুই সপ্তাহ অস্বাভাবিক গরম পড়ে, যা সহ্য করা বেশ কঠিন। তবে সেটা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। 

রাইজিংবিডি: বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার পড়ালেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি বলতেন?

মুহিব: চীনের শিক্ষা কারিকুলাম বেশ উন্নতমানের। এদেশের শিক্ষকরা বেশ উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন, সবাই পিএইচডি ডিগ্রিধারী। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রদানের আগে নিজেদের দক্ষ হওয়া প্রয়োজন এই সম্পর্কে বেশ ভালো অবগত তারা। শিক্ষকরা বেশভূষা এবং আচরণের দিক দিয়েও বেশ ফরমাল থাকেন। আমাদের দেশের অনেক শিক্ষকরা যেমন ঠাট্টামশকরা করে সময় পার করে দেন, সেদেশে তেমন হয় না। নিয়মনীতি ও সময়ানুবর্তিতার দিক দিয়ে তারা বেশ কঠোর। 

রাইজিংবিডি: তারপর?

মুহিব: ক্লাসের অনেক শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউশন নিতেও যেতেন তাদের কাছে। তবে কখনোই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ভেদাভেদ করতেন না। পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলবো, ক্লাসে চাইনিজ বন্ধু বানাতে পারলে সেদেশের শিক্ষাজীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। একাডেমিক পড়ালেখাতে স্বস্তি থাকে তো বটেই, পাশাপাশি সবকিছুতে অনেক জ্ঞানও পাওয়া যায়। এখানে আরও গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি যোগ করতে চাই, তা হলো, শিক্ষার্থীরা যে ডিগ্রিতেই ভর্তি হন না কেন, প্রতি সেমিস্টারে তাদের জন্য চাইনিজ ভাষার কোর্স করা বাধ্যতামূলক। 

আপনাকে মান্দারিন ভাষা শিখতেই হবে, এর বিকল্প নেই। তবে শুনতে কঠিন মনে হলেও, আসলে এটি কঠিন কোনো বিষয় নয়। কোর্সটি সহজ, শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো নম্বর পান, আমিও পেয়েছিলাম। চায়নাতে পড়তে হলে আপনাকে আইইএলটিএস করে আসতে হবে না। তবে আপনি যদি চাইনিজ ভাষার কোর্স HSK- 4 সম্পন্ন করে থাকেন, আপনার জন্য সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। এমনকি স্কলারশিপ পাওয়ার বিষয়টিও। আগে থেকে সম্পন্ন করা না থাকলেও সমস্যা নেই। এখানে এলে আপনার সম্পন্ন করা হয়ে যাবে।

রাইজিংবিডি: আবাসন ও খাবার নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই। 

মুহিব: আবাসন নিয়ে আমায় তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মে থেকেছি। ডর্মগুলো বেশ পরিষ্কার এবং গোছানো। প্রতিটি রুমে দুইজন করে শিক্ষার্থী থাকেন। তবে যদি কারো রুম শেয়ার করতে সমস্যা হয়, তাহলে উপর্যুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ একা থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। আর খাবার নিয়ে বলতে গেলে, প্রথম দিকে আমাকে এটি নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমরা বাঙালিরা তো বেশ ভোজনরসিক জাতি, সবসময় মুখরোচক মশলাদার খাবার খেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু চাইনিজরা এসব  খায় না, তারা অল্প মশলা দিয়ে সিদ্ধ কিংবা আধা সিদ্ধ খাবার খায়, ডর্মেও  তাই একই পদ্ধতিতে রান্না করা হয়। প্রথম দিকে আমার রুচিতে বাঁধত, খেতে পারতাম না। কখনো কখনো বমির উপক্রমও হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।

রাইজিংবিডি: প্রবাস জীবনের গল্প যদি শেয়ার করতেন পাঠকদের সঙ্গে... 

মুহিব: চীনে যাওয়ার পর প্রথম ৬ মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কোনো বন্ধু ছিল না। বেশ একাকিত্ব কাজ করতো, অনেক অসহায়বোধ হতো। কখনো কখনো খারাপ লাগা এতই প্রকট হতো যে, মাঝে মধ্যে মনে হতো দেশে ফেরত চলে যাই। সত্যি বলতে, আপনি যদি বিদেশে গিয়ে বাঙালি হিসেবেই থাকতে চান, তাহলে বেশ কষ্টের সম্মুখীন হবেন। যেহেতু প্রবাসের পরিকল্পনা করছেন, আপনাকে নতুনত্ব গ্রহণ করা এবং নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনি যদি এই দুটি ব্যাপার রপ্ত করতে পারেন, তাহলে প্রবাসে থাকা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। আমার নিজ ক্লাসেই ২৯টি দেশের শিক্ষার্থী ছিল। ভাবা যায়, কতটা বৈচিত্রপূর্ণ একটি পরিবেশ ছিল! আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে, এটি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে আপনি চাইলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন। তাদের ব্যাপারে জানতে পারছেন, বন্ধুত্ব করতে পারছেন, আপনার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারছেন। প্রথম প্রথম আমার বেশ সংকোচ বোধ হতো। কী কথা বলবো, কিভাবে বলবো, আদৌ আমার সঙ্গে তারা মিশবে কিনা। তবে ধীরে ধীরে কিভাবে যেন সবাই বন্ধু হয়ে গেলাম। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে আমার শুরু হলো ক্লাসমেটদের সঙ্গে মেলামেশা, উঠাবসা, ঘুরতে যাওয়া, আনন্দ উল্লাস করা। 

সবচেয়ে বেশি আমি যেটা উপভোগ করেছি, তা হলো এক্সট্রা কারিকুলার কাজগুলো। আমার জীবনের সুখকর স্মৃতিগুলোর একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে সেগুলো। বেশ আনন্দ ও তৃপ্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করতাম ইভেন্টগুলোতে। সবচেয়ে বেশি আনন্দ করতাম ডিসেম্বর মাসের সময়টায়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ কালচারাল ফেস্টিভ্যাল হয় সব ডিপার্টমেন্ট মিলিয়ে। সেই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করে চাইনিজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। 

বাঙালি শিক্ষার্থীরা অন্য উপলক্ষগুলো সেভাবে জাকজমকভাবে পালন না করলেও পহেলা বৈশাখ বেশ আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করেন। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করে থাকেন। বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় সবার কাছে। আমি মনে করি, নিজের দেশ ও শেকড় পরিচিত করানোর জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ। 

রাইজিংবিডি: শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি আয় ও স্কলারশিপের ব্যাপারে জানতে চাই। 

মুহিব: চীনে ছাত্রাবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য আয়ের কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু আপনি স্টাডি ভিসায় এসেছেন, এজন্য আপনার অন্যকিছু করাতে বাধা রয়েছে। বিশেষ করে, যারা ডাক্তারি পড়তে আসেন, তাদের জন্য তো সম্ভবই নয়। তাই পরিবারের কাছ থেকেই যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে। অন্যদিকে রেজাল্ট ও পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ পেতে পারেন। উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে সেরা ১০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়, যেটি মূল টিউশন ফি’র এক-তৃতীয়াংশ হয়ে থাকে। 

তাছাড়া, এখানে দুটি স্কলারশিপ চালু রয়েছে। একটি হচ্ছে সরকারি, যেখানে শতভাগ স্কলারশিপ দেওয়া হয়, সঙ্গে উল্টো আপনাকে ৫০ হাজার টাকার অধিক স্ট্রাইপেন্ড দেওয়া হতে পারে। দ্বিতীয়টি প্রেসিডেন্সি স্কলারশিপ, যেখানে আপনি ৬০-৮০ শতাংশ ছাড় পাবেন টিউশন ফি’র উপর ও ডরমেটরি খরচটাও মওকুফ করা হয়ে থাকে। আমি রেজাল্ট, পারফর্মেন্স এবং উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। টিউশন ফি’তে ছাড়ের প্রতিমাসে একটি পরিমাণ অর্থ পেতাম।

রাইজিংবিডি: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মুহিব: আমার গল্প শোনার জন্য রাইজিংবিডিকেও অনেক ধন্যবাদ। আশা করি, পাঠকরা এতে উপকৃত হবেন।

ঢাকা/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়