ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাকিবের হাতে আঁকা ছবির গল্প

সুপর্ণা রহমান টুছি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২৭ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১২:১৫, ২৭ জুলাই ২০২১
রাকিবের হাতে আঁকা ছবির গল্প

আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসেন রাকিব। ছোটবেলা থেকেই আকর্ষণ রঙ-পেন্সিলের প্রতি। সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। নিজের কল্পনাকে রূপ দেন হাতে আকাঁ ভালোবাসায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে ছবি আঁকা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। এখন তার ছবি আঁকার বিষয়বস্তু ক্যাম্পাস।

ঢাকার অদূরে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মেধাবী শিক্ষার্থী মো. রাকিবুল হাসান। বর্তমানে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে তার নানা জল্পনা-কল্পনা। কখনো এঁকেছেন লোগো, কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার। অঙ্কিত চিত্রশিল্প ভিন্নরূপে উপহার হিসেবে পান বিদ্যাপীঠের অনেকেই।

সম্প্রতি সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বিশেষ দিনে একটি বিশেষ লোগো উন্মোচন করে তারা। যা মন কাড়ে রাকিবের। লোগো একে উপহার দিতে ফ্রেমে বাঁধাই করে নেন তিনি।

এরপর গণস্বাস্থ্যের সাভার কার্যালয়ে যান। হাতে রঙ-পেন্সিলে আঁকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিশেষ লোগো। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ডাক পড়লো ভেতর থেকে। স্বজোরে নিঃশ্বাস নিয়ে গুটি গুটি পায়ে এগোলেন।

চেয়ারে বসে আছেন গণস্বাস্থ্যের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ। কুশলাদি বিনিময় হলো। বিশেষ চিত্রশিল্প দেখে খুব খুশি হলেন তিনি। বাকি সিনিয়র কর্মকর্তাদের ডেকে নিতেই পরিচয় পর্ব সারলেন। প্রশংসা করলেন তার হস্তশিল্পের।

আঁকাআঁকি নিয়ে রাকিব বলেন, মায়ার এক ঠিকানা গণ বিশ্ববিদ্যালয়। একে নিয়ে কাজ করে অন্যরকম আনন্দ পাই৷ সুযোগ পেলেই তাই আঁকাআঁকি করা হয়৷ অনুপ্রেরণা পেলে ভালো লাগে। সামনে দারুণ কিছু উপহার দিতে চাই।

তিনি বলেন, প্রথমে এঁকেছিলাম গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো৷ গত সেমিস্টারে অনলাইনে সব কোর্সের পরীক্ষার খাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো আঁকতাম। পরে একটি লোগো বড় করে এঁকে ফেসবুকে আপলোড করি৷ অনেক সাড়া ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এরপর লোগোটি বাঁধাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়কে উপহার দেই৷

করোনায় লকডাউনে প্রায় বছর খানেক ধরে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে৷ বাঁশ ঝুলে থাকায় এ ফটকের রূপ উপভোগ করা যায় না৷ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বা সম্মুখদ্বার এঁকে ফেলেন তিনি। সেই ছবিটিও ক্যাম্পাসের অনেকের মন কেঁড়ে নেয়।

যে কোনো ধরনের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমই প্রশংসার দাবিদার। অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে রাখে। বগুড়ার ছেলে রাকিবের আঁকাআঁকির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। অদূর ভবিষ্যতে তিনি কোথায় পৌঁছাবেন, কেউ জানেনা। তবে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, তাতে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখতে বাধা কই?

লেখক: শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

গবি/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়