ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন’ নিয়ে ওয়েবিনার 

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ৩০ নভেম্বর ২০২১  
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন’ নিয়ে ওয়েবিনার 

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘এডভান্সিং পিস থ্রু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ওয়েলবিং’ শীর্ষক ওয়েবিনার হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এতথ্য জানা যায়।এর আগে ২৯ নভেম্বর অনলাইনে এ ওয়েবিনার হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্ব শান্তি কনফারেন্সের অংশ হিসেবে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রধান গীতাঞ্জলি সিং। 

ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সিপিজে’র নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান, ওবিই। স্বাগত বক্তব্যে একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার পথে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নানাবিধ অর্জন ও অনন্য সাধারণ দিক সম্পর্কে অবহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদের একটি শিক্ষা দিয়েছে যে, সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। বৈশ্বিক শান্তি স্থাপন, টেকসই উন্নয়ন এবং সহনশীলতা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই যৌথ দায়িত্ব নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনের প্রস্তাব উত্থাপনকারী দেশ এবং টেকসই উন্নয়ন এবং মানুষের সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমেই এই শান্তি অর্জিত হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে ‘শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা: একুশ শতকের বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল এডুকেশন অনুষদের ডিন এবং সিপিজের রিসার্চ ফেলো ড. সামিয়া হক। অর্থনৈতিকভাবে টেকসই, শান্তিপূর্ণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে মূল প্রবন্ধে গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সব আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা, ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করার পদ্ধতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্থানীয় ও বৈশ্বিক শান্তির অগ্রগতিতে অবদান রাখছে এবং মানবতাকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর আমি আরও বিশ্বাস করি, ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু এটাই করতে চেয়েছিলেন।’

ওয়াহিদুল/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়