‘জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা সংস্কারের বিকল্প নেই’
ঢাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশের জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবির) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপান্তর: একটি কৌশলগত রোডম্যাপ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “আমাদের জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে হবে। দেশের ১৮ কোটি মানুষকে জনসম্পদে পরিণত করতে সমন্বিত ও বহুমুখী উদ্যোগ প্রয়োজন। এসব উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে চাই শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার।”
ফ্যাসিবাদ পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগে একটা কথা প্রচলিত ছিল, যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। কিন্তু হাসিনা আমাদের কণ্ঠরোধ করতে হীরক রাজার নীতি অবলম্বন করেছিল। হীরক রাজার নীতি ছিল- যে যত বেশি জানে সে তত কম মানে। তাই জনগণকে বাধ্যানুগত করে রাখতে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে আমাদের জানার পরিধি সংকুচিত করে রেখেছিল পতিত সরকার। সেই ফ্যাসিস্ট শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষা সংস্কারের বিকল্প নেই।”
ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ।
এ সময় বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “আমরা শুধু রূপান্তরের কথা বলব, কিন্তু সুযোগ সুবিধা ও বাজেট বরাদ্দ না দিলে তো সেটা হবে না। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতে শিক্ষা খাতে বাজেট অনেক বেশি। জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশে সেটি ২ শতাংশের কম।”
তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে হলে আইসিটিসহ ল্যাব এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীদেরকে জব মার্কেটে সহজে কাজে লাগানো যায়। এক কথায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আমি বিশ্বাস করি বিএনপি সরকার গঠন করলে সেই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিবে।”
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমএ কাউসার ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ, ঢাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক আতাউর রহমান মিয়াজী, ড. মো. নূরুল আমিন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় দে রিপন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক জাফর আহমেদ প্রমুখ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী