রাবির একাডেমিক ভবনের ছাদে অগ্নিকাণ্ড
রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের ছাদে নাট্যকলা বিভাগের পুরনো সরঞ্জামে আগুন লেগেছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছাদের এক কোণায় থাকা কাঠ, খড়কুটো, কাগজ-বোর্ডসহ নাট্যকলার বিভিন্ন পুরনো সরঞ্জামে আগুন ধরে যায়। কেউ জ্বলন্ত সিগারেট ফেলে যাওয়ার কারণে অথবা ছাদের ওপর রাখা কাচে সূর্যের আলোর প্রতিফলন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ধোঁয়া দেখে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা দৌড়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সময় লাগে।
খবর পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও শিক্ষার্থী ও বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নাট্যকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নীরব বলেছেন, “আমরা ধোঁয়া দেখার সাথে সাথে উপরে উঠে আসি। বালতিভর্তি পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে পর্যাপ্ত গ্যাস ছিল না— কোনোটাতে নেই, কোনোটাতে অল্প পরিমাণ গ্যাস ছিল। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেওয়া হলে তারা এসে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেন।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আরিফ হায়দার বলেন, “আমি যখন ক্লাস নিয়ে নিচে গেছি, তখন হঠাৎ নিচ থেকে দেখতে পাই ওপরে ধোঁয়া উড়ছে। সাথে সাথে আমার এক ছাত্র আমাকে ফোন দেয়, আমি তখন উপরে উঠি। উঠে দেখি, দরজা আটকানো। পরে চাবি এনে তালা খুলে ঢুকতে গিয়েও পারছিলাম না। আগুনের লেলিহান শিখা অনেক উপরে উঠে গিয়েছিল।”
তিনি আরো বলেন, “আমার স্টুডেন্টরা বালতিভর্তি পানি আনে। তারপর অগ্নিনির্বাপক যে সিলিন্ডার ছিল, ওগুলা দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং মোটামুটি আগুন নিভে যায়। এরপর আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। আমার ধারণা কেউ আগুন লাগায়নি। হয়তো কেউ সিগারেট খেয়ে ফেলে রেখে গেছে, সেখান থেকে হয়তো আগুন লেগেছে।”
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের রাবি শাখার পরিচালক মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেছেন, “আগুন লাগার খবর শুনে আমাদের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। পাইপের মাধ্যমে ছাদ পর্যন্ত আমরা পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।”
ঢাকা/ফাহিম/রফিক