মাহির বিচ্ছেদ সিনেমার গল্পকে হার মানায়!
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। গত ২২ মে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ অভিনেত্রী তার বিয়েবিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেন। তারপর অপুর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ির আলোচনা ‘টক অব দ্য টাউন’। রোববার (২৩ মে) প্রায় দুপুর পর্যন্ত মাহি-অপুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিন দুপুরের পর অপু রাইজিংবিডিকে বলেন— ‘আমি কী বক্তব্য দেব তা বুঝতে পারছি না। মাহির সঙ্গে কথা বলে বিকালে বিস্তারিত জানাব।’ অপু তার কথা রাখেন। বিকালে বলেন, ‘আমাদের এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে দুই পরিবার মিলে বিচ্ছেদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগির আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।’ এমন বক্তব্যের পর কিছুটা ধুম্রজাল তৈরি হয়। আবার মাহি ভক্তদের মনে কিছুটা আশার আলোও উঁকি দেয়। কারণ এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। পারিবারিকভাবে হয়তো মাহি-অপুর ব্যক্তিগত জটিলতার নিরসন হবে।
তবে ভক্তদের ভরসার শেষ আলোটুকুও নিভিয়ে দেন মাহি নিজেই। সোমবার (২৩ মে) মাহি বলেন—‘প্রায় দুই বছর আগে আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।’ তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় অপু-মাহির বিপরীতমুখী বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা। ইন্তেজার নামে একজন লিখেন, ‘বাস্তব জীবনেও এত সুন্দর অভিনয়ের জন্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া দরকার। তোমাদের নিয়ে মানুষ এত গসিপ এই কারণেই করে। এই স্ক্রিপ্ট কে লিখছে নিজে নাকি কেউ লিখে দিছে? তোমরা বিয়ে, ডিভোর্সকে এমন শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছো যে, কয়েকদিন আগে এক নায়িকাকে বলতে শুনলাম, ডিভোর্স হয়েছে তাতে কি আমরা বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে পাশে থাকব। কী কী সব নয়া ফরমুলা আবিষ্কার করো!’
নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন—‘বিচ্ছেদ যদি হয়ে থাকে তবে কেন তারা বিপরীতমুখী বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন? এ যেন সিনেমার গল্পের মতো নাটকীয়। একজন তারকা হয়েও এসব নাটকীয় দৃশ্যের অবতার কেন করছেন?’ যদিও এসব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর মেলেনি মাহির স্বামী অপুর কাছ থেকে। কিন্তু মাহি বলেন, ‘অপু কখনোই চায়নি আমাদের সম্পর্কটা শেষ হয়ে যাক।’ নেটিজেনদের ধারণা, মাহির স্বামী এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। আর এজন্য অপু বলছেন—‘এখনো ডিভোর্স হয়নি।’
প্রায় দুই বছর আগে মাহি-অপুর বিচ্ছেদ হয়েছে। তারপরও স্বাভাবিকভাবে একসঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছেন এই সাবেক দম্পতি। তা মাহি নিজেই জানিয়েছেন। এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। তাদের ভাষ্য—‘যদি বিচ্ছেদ হয়েই থাকে তবে কেন একসঙ্গে ঘুরে বেড়াবে তারা? এটা তো সমাজ ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে অন্যায়।’ ইমতিয়াজ মাশরুর নামে একজন লিখেছেন, ‘অসামাজিক কাজ করছে তা প্রকাশ্যে বলার পরও এদের শাস্তি হয় না। অথচ অনেক ভালো কথা বলে বা ভালো কাজ করেও অনেককেই শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়।’
ডিভোর্স সত্ত্বেও প্রাক্তনের প্রতি সম্মান ধরে রাখা সম্ভব। আর এই সম্মান মনের মধ্যে পোষণ করেই নিজেদের মর্যাদা অটুট রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন অপু। নেটিজেনদের একাংশ অপুর সঙ্গে একমত। তাদের ভাষ্য—‘আলাদা হয়ে গেলে তা সুন্দরভাবে করাই ভালো, নাটকীয়তার কোনো প্রয়োজন নেই।’
ঢাকা/শান্ত
আরো পড়ুন