আমি সেন্সর বোর্ডের অফিশিয়াল সদস্যপদ গ্রহণ করিনি: আশফাক নিপুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সেন্সর বোর্ডের সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের ১৫ সদস্যের মধ্যে অন্যতম— নির্মাতা আশফাক নিপুন। প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ্যে আসার পর নবগঠিত সদস্যদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়। শোবিজ অঙ্গনের অনেকে আশফাক নিপুনকে ‘খোঁচা’ দিয়ে সমালোচনা করছেন। তাদের ভাষ্য— ‘উনি (আশফাক নিপুন) এই সেন্সর বোর্ডের পক্ষেই ছিলেন না। অথচ সেই বোর্ডের সদস্য হলেন।’
এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন পরিচালক আশফাক নিপুন। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ‘মহানগর’খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড আগামী কয়েক মাসের ভেতর সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে রূপান্তরিত হবে বলে, আমাকে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আমি আজীবন চলচ্চিত্রে বা শিল্পে সেন্সর বোর্ড প্রথার বিরুদ্ধে।’
সেন্সর বোর্ডের সদস্যপদ অফিশিয়ালি গ্রহণ করেননি আশফাক নিপুন। তা জানিয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমি খুবই সম্মানিত বোধ করেছি মন্ত্রণালয় আমাকে বোর্ডের সদস্য হওয়ার যোগ্য মনে করেছিলেন। কিন্তু একটা মিস-কমিউনিকেশন হয়ে গেছে। আমি এই বোর্ডের অফিশিয়াল সদস্যপদ গ্রহণ করিনি। বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে।’
সেন্সর বোর্ডের বিপক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়ে আশফাক নিপুন বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড বাতিলের পক্ষে আমার অবস্থান সর্বদা চলমান থাকবে। নবগঠিত সেন্সর বোর্ডের বাকি সদস্যরা যারা আমার কলিগ, তাদের সেন্সর বোর্ড বাতিল করে দ্রুত সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড বা গ্রেডিং সিস্টেম চালুর পক্ষে আমার শুভকামনা রইল।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পাচ্ছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।
পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে থাকছেন— বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি। এর বাইরে সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু, নির্মাতা আশফাক নিপুন, নির্মাতা খিজির হায়াত খান, নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ, নির্মাতা রফিকুল আনোয়ার রাসেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
সদস্যের তালিকায় আরো রয়েছেন— আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), জননিরাপত্তা বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
ঢাকা/শান্ত