ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘আমার কাছে জামদানি আবেগের একটি পণ্য’ 

মিফতাউল জান্নাতী সিনথিয়া   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৭:২৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
‘আমার কাছে জামদানি আবেগের একটি পণ্য’ 

জান্নাত সুলতানা রিতা। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুমিল্লা জেলাতে। তিন বোনের মধ্যে বড় তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স-মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে সন্তানদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করছেন জান্নাত।

পূর্বে শিক্ষকতা পেশায় থাকলেও এখন তিনি দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তা। তার ফেসবুক পেজের নাম ‘সিসন’স বুটিকস’। ব্লক, বাটিক, জামদানি, নকশিকাঁথা, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে জান্নাত সুলতানা দেশীয় পণ্য খুচরা বিক্রির পাশাপাশি সারাদেশে পাইকারিও বিক্রি করেন।  

জান্নাত সুলতানা বলেন, ২০০৬ সালে স্বামীর অনুপ্রেরণায় ব্যবসা শুরু করি। শুরুটা ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই হয়েছিল। তখন দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করা আমার জন্য কষ্টকর ছিল। ব্যবসাটা শুরু হয়েছিল অফলাইনে। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করি। তবে পরিবার থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না। 

দেশীয় পণ্য ব্লক, বাটিক, স্ক্রিনপ্রিন্ট নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি জামদানি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা অনেক দিনের। কিন্তু মূলধনের অভাবে তা শুরু করতে পারছিলাম না। তবে সুযোগ পেয়ে যাই তিন বছর আগে। তারপর দেরি না করে শুরু করি জামদানি নিয়ে ব্যবসা। জামদানি পণ্য আমার কাছে অনেক ঐতিহ্যবাহী ও আবেগের একটি পণ্য মনে হয়। তাই এটা নিয়ে কাজ করা গর্বের।  

উদ্যোক্তা জীবনে সফল হতে আমার স্বামীর ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। আজ ছয় মাস হলো মারা গেছেন। এই দিনের জন্য আজকে তিনি আমাকে তৈরি করে গেছেন। তবে নিজেকে এখনো সফল উদ্যোক্তা মনে করি না। আমি একজন সাধারণ উদ্যোক্তা। আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে আমার পরিবার, মা-বাবা ও বোনেরা সাপোর্ট করেছেন সবসময়।’ 

তিনি আরো জানান, নতুন উদ্যোক্তাদের এ পেশায় আসতে চাইলে, তাদের পণ্য নিয়ে বিশদ জানা ও জ্ঞান অর্জন দরকার। আবেগের বশবর্তী হয়ে কেউ যেন কোনো উদ্যোগ শুরু না করেন।

বর্তমানে জান্নাত সুলতানার উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন কর্মী। তারা এই কাজের মাধ্যমে জীবন ও জীবিকা চালান। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যবসা আর সন্তানদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি৷ দুটোই তার কাছে সন্তান সমতূল্য। ভবিষ্যতে ১০০ জন উদ্যোক্তা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তার।

ঢাকা/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়