ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করার মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন’

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ৮ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৯:১৮, ৮ মার্চ ২০২৪
‘চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করার মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন’

মোবাশশিরা হাবীব খান

পরিবার এবং কর্মস্থল এই দুটি বিষয় একসুতোয় গেঁথে এগিয়ে যেতে হয় নারীকে। চলতে চলতে সফলতার গল্প তৈরি করেন নারীরা। এমনই একজন সফল নারী মোবাশশিরা হাবীব খান। ৩০তম বিসিএস (পুলিশ) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। চাকরিজীবনে আইজি'স ব্যাজ এবং ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সেবা’য় ভূষিত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় বাস্তব প্রশিক্ষণ এবং মুন্সিগঞ্জে মাঠ প্রশিক্ষণ শেষে পর্যায়ক্রমে তিনি এএসপি হিসেবে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স, এসি ফিমেল পুলিশ, এসি ট্রাফিক, এডিসি ট্রেনিং, এডিসি ফিমেল পুলিশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জেলা গোয়েন্দা শাখা, ঢাকায় কর্মরত।

নেত্রকোনার পূর্বধলা থানায় ১৯৮৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মোবাশশিরা হাবীব খান। বাবার নাম আহসান হাবীব খান, মা শামীমা আক্তার খান। মোবাশশিরা হাবীব খান ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন।  

আরো পড়ুন:

মোবাশশিরা হাবীব খান বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে নারীর ক্ষমতায়ন ও সমধিকারের সূচনা হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাত ধরে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে নারীর শিক্ষা, চাকরি ও কর্মসংস্থানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে। তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর সমতা ও ক্ষমতায়নে উলেখযোগ্য বহুমুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য রোল মডেল। তবে, রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম একক পরিবার ও সমাজকে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আরো সংবেদশীল হতে হবে।

তিনি বলেন, কর্মজীবী নারীদের কাজের ক্ষেত্র কখনই মসৃণ নয়। তবে নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান ভেদে এই চিত্র ভিন্ন ও আপেক্ষিক। পেশাগত ও পারিবারিক জীবনে নারীকেই সকল দায়িত্ব পালন করতে হবে এই ধ্যানধারণা নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতা। 

চ্যালেঞ্জিং পেশা এবং পারিবারিক দায়িত্ব- এই দুই জায়গা কীভাবে সমন্বয় করা যায়? এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই চৌকষ অফিসার বলেন, এ পেশায় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দুর্ধর্ষ অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হয়। পুলিশে নারীর কাজ করা মূলত খুব চ্যালেঞ্জের। নারীকে এই পেশায় ভালো করতে হলে দুটি বিষয়ের সমন্বয় প্রয়োজন। প্রথমত, চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করার মানসিক দৃঢ়তা, দ্বিতীয়ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ। 

তিনি আরও বলেন, নারীদের এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি বলব- প্রথমত, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ব্যতীত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়ন অসম্ভব। নারীদের উন্নয়নে শুধু পুরুষ নয়, নারী-পুরুষ সকলেরই ভূমিকা পালন করতে হবে। সামাজিক অবকাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মজীবী হবে এবং তাদের পারিবারিক দায়বদ্ধতাও সমান হবে।

ঢাকা/মামুন/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়