জম্মু-কাশ্মীরে এক দশক পর নির্বাচন আজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে আবার বিধানসভা ভোট হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। জম্মু ও কাশ্মিরে ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রথম দফায় মোট ২৪ আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, প্রথম দফার নির্বাচনে দক্ষিণ কাশ্মিরের চার জেলা- পুলওয়ামা, কুলগাম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের ১৬টি এবং জম্মুর তিন জেলা- ডোডা, কিস্তওয়ার ও রামবনের আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
২৪ আসনে ভাগ্যপরীক্ষায় নেমেছেন মোট ২১৯ জন প্রার্থী, তাদের মধ্যে ৯০ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণের কাজ।
জম্মু ও কাশ্মীরে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে এবং ১ অক্টোবর তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগণনা হবে আগামী ৮ অক্টোবর।
২০১৪ সালে শেষ বার জন্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার জন্য ভোট নেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই নির্ধারিত মেয়াদের আগে জন্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দেয় মোদি সরকার। সেই সঙ্গে বিলোপ করা হয় ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের পরিবর্তে জম্মুকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। শেষ পর্যন্ত দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই উপত্যকায় ফের বিধানসভা ভোটের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এবারের বিধানসভা ভোটে মূলত চতুর্মুখী লড়াই। বিজেপি ছাড়াও ভোটের মাঠে রয়েছে মেহবুবা মুফতির পিডিপি, ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস ও একাধিক বিচ্ছিন্নতবাদী নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত আঞ্চলিক দল। কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স-সিপিএম এবং জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল প্যান্থার্স পার্টি জোট বেঁধেই লড়ছে।
নির্বাচনের কারণে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো জম্মু-কাশ্মীরকে। মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্তিশালী করার’ প্রচেষ্টায় ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক্স-এ এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হওয়ার সাথে সাথে, আমি আজ নির্বাচনী এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বিশেষ করে তরুণ এবং প্রথমবারের মতো ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে, প্রথম ধাপে মোট ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ জন মানুষ ভোট দেওয়ার যোগ্য। যার মধ্যে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ জন পুরুষ, ১১ লাখ ৫১ হাজার ৫৮ জন নারী এবং ৬০ জন তৃতীয় লিঙ্গ। মোট ১৪ হাজার পোলিং অফিসার ৩ হাজার ২৭৬টি ভোটকেন্দ্রে প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করবেন, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
/ফিরোজ/