ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০২, ১২ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ২১:৫২, ১২ জুলাই ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলোচনা ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে ইসরায়েলি বাহিনী কখন প্রত্যাহার করবে সেই ইস্যুতে স্থবির হয়ে পড়ছে। দোহায় আলোচনার যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাবের উপর পরোক্ষ আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গাজায়, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শনিবার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণে খাদ্য সহায়তা পেতে যাওয়া ১৭ জন নিহত হয়েছেন, যা মার্কিন-সমর্থিত সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থার আশেপাশে সর্বশেষ গণহত্যার ঘটনা। জাতিসংঘের মতে, ছয় সপ্তাহে ত্রাণপ্রার্থী ৮০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

রয়টার্সের সাথে কথা বলা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ত্রাণপ্রার্থীদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করা হয়েছে। নাসের হাসপাতালে সাদা কাফনে মোড়ানো বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখা গেছে। 

জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে একটি চুক্তির জন্য নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে ইসরায়েল ওে হামাসের প্রতিনিধিদল এক সপ্তাহ ধরে কাতারে অবস্থান করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই একটি চুক্তির আশা করছেন। কিন্তু ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর কথা বলেছে, যা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

একটি ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, হামাস ইসরায়েলের প্রস্তাবিত প্রত্যাহার রূপরেখা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৪০ শতাংশ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যার মধ্যে রাফাহের সমস্ত দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর ও পূর্ব গাজার আরো অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

দুটি ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, হামাস চায় মার্চ মাসে পুনরায় হামলার আগে ইসরায়েল পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতিতে যে অবস্থানে ছিল তাতে ফিরে যাক।

ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধের অবসানের জন্য সাহায্য এবং গ্যারান্টি সম্পর্কিত বিষয়গুলোও একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। আরো মার্কিন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান করা যেতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়