ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুতিদের
ইসরায়েলের প্রধান ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকে লক্ষ্য করে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
স্থানীয় সময় বুধবার রাতে (১৬ জুলাই) এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছেন হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি। খবর সিনহুয়ার।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভিতে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি জানান, তারা ‘ফিলিস্তিন-২’ মডেলের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন।
সারির মতে, ‘লাখ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করে ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত করে’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে’।
সারিয়ার দাবি, বেনগুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি নেগেভ মরুভূমিতে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে দুটি ড্রোন হামলাও চালানো হয়েছে।
হুতি গোষ্ঠী ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা দিমোনা শহর থেকে প্রায় আট মাইল দক্ষিণ-পূর্বে নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত ইসরায়েলি পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
হুতি মুখপাত্র গোষ্ঠীর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা অব্যাহত রাখবে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হুতিরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে আসছে।
ঢাকা/ফিরোজ