ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভারতের নয়ডায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কলকাতা ব্যুরো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ২৫ নভেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৩:৫১, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের নয়ডায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভারতে পড়তে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর। ২২ বছর বয়সী ওই নিহত শিক্ষার্থীর নাম শাহরিয়ার। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে ঘরের ভেতরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির মালিক।

শাহরিয়ার উত্তর প্রদেশের নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এনআইইউ) পড়াশোনা করতেন। তিনি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা। গ্রেটার নয়ডায় বেটা-১ সেক্টরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। তার লাশ দেখতে পাওয়ার পর বেটা-২ থানায় খবর দিলে ঘটলাস্থলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। 

আরো পড়ুন:

বাড়ির মালিক জানান, রবিবার সন্ধ্যায় আমি জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে তাকাতেই শাহরিয়ারকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এরপরে সাথে সাথেই থানায় খবর দিই। 

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার তারা খবর পায় সেক্টর বেটা-১ এর একটি ভাড়া নেওয়া বাসায় এক যুবক আত্মহত্যা করে মারা গেছে। এরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও ঘরটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। এরপর বাড়ির মালিকের উপস্থিতিতে পুলিশ দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

বাড়ির মালিক জানান, বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা রূপা নামে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শাহরিয়ারের। গত ১৬ নভেম্বর, রূপাকে সাথে নিয়ে শাহরিয়ার ওই বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য সেখানে আসে। এসময় তারা দুজনেই নিজেদেরকে বিবাহিত দম্পতি হিসেবে তার (বাড়িওয়ালার) কাছে পরিচয় দেন। প্রতি মাসে ৮ হাজার রুপিতে তিনি শাহরিয়ার দম্পতিকে ঘরটি ভাড়া নিয়েছিলেন। পরদিন ১৭ নভেম্বর তারা উভয়েই ওই ঘরে এসে ওঠেন।  

বাড়িওয়ালা আরো জানান, ওই নারী ২১ নভেম্বর ঘর থেকে বেরিয়ে যান কিন্তু এরপর আর ফিরে আসেননি। আর সেদিন থেকেই শাহরিয়ারের ফোনও বন্ধ ছিল। ফলে একরাশ সন্দেহের জন্ম দেয়। এদিকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায়, রবিবার ২৩ নভেম্বর তিনি জানালা দিয়ে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার জানান, ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি। মৃত্যুর কারণ কী, তা নিশ্চিত করার জন্য ওই নারীর চলে যাওয়া, এর ফলে শাহরিয়ার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল কিনা, শাহরিয়ারের ফোন কেন বন্ধ ছিল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো সমস্যা ছিল কিনা- এই সমস্ত দিক পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। 

এদিকে তদন্তে নেবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রুপা নামে ওই নারীর কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। কারণ ঘটনার পর থেকে রূপার ফোনও বন্ধ পায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা। 

বাড়ির মালিক জানান, তারা যখন ঘর ভাড়া নিতে আসে তখন তাদের উভয়কেই নববিবাহিত দম্পতির মতোই লাগছিল। আচমকা এরকম একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে কখনোই বুঝতে পারিনি।  

পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মৃতের পরিবারের সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। 

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়