ঢাকা     রোববার   ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গ্রিসের কাছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩২, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১০:৪২, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গ্রিসের কাছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ১৭

গ্রিক দ্বীপ ক্রিটের কাছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিসের কোস্টগার্ড। 

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ক্রিট থেকে প্রায় ২৬ নটিক্যাল মাইল (৪৮ কিমি) দক্ষিণ-পশ্চিমে, নিহতদের পাশাপাশি দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা। 

আরো পড়ুন:

গ্রিসের কোস্টগার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিহতদের সবাই পুরুষ।

মুখপাত্র আরো বলেন, “গুরুতর অবস্থায় বেঁচে যাওয়া দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নৌকা ডুবির পরিস্থিতি জানা না যাওয়ায় ময়নাতদন্ত করা হবে।”

অ্যাথেন্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, একটি তুর্কি পণ্যবাহী জাহাজ নৌকাটি দেখতে পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। ঘটনাস্থলে গ্রিস কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ দ্রুত পৌঁছায়, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য একটি নৌকা, একটি বিমান ও একটি সুপার পুমা হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে।

উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন- খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের নৌকাটি বিপজ্জক হয়ে পড়ে, তাদের মাথা ঢাকার, খাবার খাওয়া বা পান করার কোনো উপায় ছিল না।

নৌকাটির সন্ধান যখন পাওয়া যায়, তখন সেটিতে ডুবে ছিল।

ক্রিটান বন্দর ইরাপেট্রার মেয়র মানোলিস ফ্রাঙ্গোলিস সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের সবাই অল্পবয়সী।

তিনি বলেন, “অভিবাসীরা যে নৌকায় ছিলেন তা দুই দিকেই ডুবে গিয়েছিল, যার ফলে যাত্রীরা একটি ছোট জায়গায় আটকা পড়েছিল।”

গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইআরটি জানিয়েছে, অভিবাসীদের পানিশূন্যতার কারণে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে কর্তৃপক্ষ। 

গত বছর থেকে অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীরা উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগর হয়ে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের দিকে ঝুঁকছে, কারণ এটি ইইউতে পৌঁছানোর একটি নতুন পথ হয়ে উঠেছে, যদিও এটি খুবই বিপজ্জনক।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর মতে, চলতি বছরের শুরু থেকে ইইউতে আশ্রয়প্রার্থী ১৬ হাজার ৭৭০ জনেরও বেশি মানুষ সেখানে পৌঁছেছেন।

জুলাই মাসে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের নেতৃত্বে গ্রিসের রক্ষণশীল সরকার অভিবাসীদের জন্য আশ্রয় শুনানি স্থগিত করে, বিশেষ করে লিবিয়া থেকে ক্রিটে আগতদের লক্ষ্য করে।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির উৎখাত ও হত্যার পর থেকে লিবিয়া সংঘাতে জর্জরিত।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়