থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আবারো সংঘর্ষ
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিবাদপূর্ণ সীমান্তে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সীমান্তজুড়ে গুলিবিনিময় ও বিস্ফোরণে থাই সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিজেদের সেনাদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বিমান হামলা চালিয়েছে থাই আর্মি।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল উইন্থাই সুবারি বলেন, “চং আন মা পাস এলাকায় কম্বোডিয়ার অস্ত্র-সমর্থনকারী অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ওখান থেকে আর্টিলারি ও মর্টার ছুড়ে আনুপং ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছিল, যার ফলে আমাদের একজন সেনা মারা যান ও চারজন আহত হন।”
সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কাজও চলছে বলেও তিনি জানান। খবর আলজাজিরার।
কাম্বোডিয়া হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা এএফপিকে জানান, সোমবার ভোরে ওদ্দার মিনচে প্রদেশের সীমান্তে থাই বাহিনী তাদের সেনাদের ওপর প্রথম হামলা চালায়। তবে কাম্বোডিয়া পাল্টা আক্রমণ করেনি বলে তিনি দাবি করেন।
এর আগে, গত জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ দিনের সীমান্তযুদ্ধ হয়েছিল। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারায় এবং দুই লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে ২৭ জুলাই প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করান।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের কারণ
দুই দেশের মধ্যে এই বিরোধিতা ১০০ বছরেরও বেশি আগের। কম্বোডিয়ায় ফরাসি দখলদারিত্বের পর দুই দেশের মধ্যে এই সীমান্ত সৃষ্টি হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিস্থিতি বিরূপ হয় ২০০৮ সালে যখন ক্যাম্বোডিয়া ওই বিতর্কিত এলাকায় অবস্থিত একাদশ শতাব্দীর একটা মন্দিরকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে নিবন্ধিত করার চেষ্টা করে। থাইল্যান্ড এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
দুই দেশের মধ্যে চলে আসা এই বিরোধের জেরে বছরের পর বছর ধরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গত মে মাসে সংঘর্ষের সময় কম্বোডিয়ার এক সেনার মৃত্যুর পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
ঢাকা/ইভা