ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান দীপনের বাবা 

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ৩১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১২:৫৬, ৩১ অক্টোবর ২০২০
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান দীপনের বাবা 

ফয়সল আরেফিন দীপন (ফাইল ফটো)

পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার বিচার।

দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘পাঁচ বছর হয়ে গেল ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তবে বিচারের তেমন অগ্রগতি হয়নি। করোনার কারণে মাঝে বিচার কার্য বন্ধ ছিল। আবার বিচার শুরু হয়েছে। এখন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ 

দীপনের বাবা আরও বলেন, ‘হত‌্যাকাণ্ডে পরিকল্পনাকারী মেজর জিয়া বলে জেনেছি। এ মামলায় পুলিশ আসল সাক্ষী। এখন ডিবির সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করছে মামলাটি। অনেক সময় হয়ে গেছে, এখন মামলাটির রায় দ্রুত হলে ভালো হয়।’

মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম ছারওয়ার খান জাকির বলেন, ‘তিন বছর তদন্ত শেষে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধ ট্রাইব্যুনালে আসে। মামলাটির চার্জগঠন শেষে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। ইতিমধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়ে গেছে। আর কয়েক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি হবে। এরপর যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণা করবেন আদালত। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরই মামলার বিচার শেষ হবে বলে আশা করছি।’

আসামিপক্ষের এক আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। মাত্র একদিন সাক্ষীদের জেরা করেছি। মামলাতে আসামিদের দেওয়া ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে বিচার কার্য চলছে। মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী নেই। ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। আশা করছি, সবাই ন্যায়বিচার পাবেন।’  

উল্লেখ‌্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিনই তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে বিচারাধীন। গত ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আগামী ৯ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান আট জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়