ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘দাম্পত্য কলহে শিমুকে হত্যা, স্বীকার করেছেন স্বামী’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৫:৩৩, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
‘দাম্পত্য কলহে শিমুকে হত্যা, স্বীকার করেছেন স্বামী’

রাইমা ইসলাম শিমু। ছবি: সংগৃহীত

পারিবারিক কলহ ও দাম্পত্যের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল।

আরও পড়ুন: ‘যারা বিভ্রান্তমূলক কথা বলেছেন তাদের শাস্তি প্রয়োজন’

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সংবাদ পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন এলাকায় পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোঁপের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।  মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহের নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

মারুফ হোসেন সরদার বলেন, তদন্তে জানা যায়, মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর।  তার বয়স ৪১ বছর।  তিনি সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন।’

আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা: স্বামীসহ আটক ২

তিনি বলেন, ‘মৃতদেহের নাম, পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়ার সাথে সাথে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপার ঢাকার নির্দেশনায় কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।  পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করে। তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেলের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও মামলার তদন্তকারী অফিসার ভিকটিম শিমুর বাসায় যায়।  হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা শুরু করে।’

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার। ছবি: রাইজিংবিডি

মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘খুনিরা যদিও খুবই পরিকল্পিতভাবে লাশটি কেরানীগঞ্জে হযরতপুরে ফেলে যায়।  তবে তারা কিছু চিহ্ন রেখে যায়।  আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহকে রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসি। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের ফলে শিমুর স্বামী ও তার বন্ধুর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে নোবেলের সাথে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে খুন হন শিমু।’ 

এক প্রশ্নের উত্তরে মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘শিমুকে তার স্বামী নোবেলই খুন করেছে। আর লাশ গুম করতে সাহায্য করেছে নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ।’

এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেলের গাড়িটিও জব্দ করা হয়। গাড়িতে রক্তের আলামত ছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেনশিমুর ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

/মামুন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়