ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ঈদে থাকুক দেশীয় তাঁতের শাড়ি-ব্লাউজ

ফায়জা আহমেদ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৯ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১১:১২, ২৯ মার্চ ২০২৪
ঈদে থাকুক দেশীয় তাঁতের শাড়ি-ব্লাউজ

ফায়জা আহমেদ

ঈদে এখনও অনেক নারীই শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। যারা শাড়ি পরতে চান তারা প্রাধান্য দিতে পারেন দেশীয় তাঁতের শাড়ি ও ব্লাউজকে। আমরা যে মাটি- যে বাতাসে জন্মগ্রহণ করেছি সেই মাটির তাঁতীরা যে কাপড় বোনেন, সেই কাপড় আমাদের জন্য যেকোন সময়, যেকোন উৎসবে অনেক বেশি মানানসই। এবার ঈদ হচ্ছে চৈত্র মাসে। তাই আমাদের স্থানীয় তাঁতীদের বোনা শাড়িতে উদযাপন হতে পারে এবারের ঈদ।

যদিও হিউম্যান সাইকোলজি হচ্ছে, উৎসবের পোশাক মানে এক্সট্রা বা বাড়তি কিছু। বাড়তি কিছু করতে গেলে পোশাকে চাকচিক্যের ভ্যালু অ্যাডিশনকে আমরা প্রাধান্য দেই। যেটা দোষের কিছু না। প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা রুচি, সৌখিনতা, আহ্লাদ আছে। এখন এই চাওয়াকে কেন্দ্র করে মার্কেট কী দিচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ মার্কেট যে পণ্য অফার করে ক্রেতারা সেখান থেকেই পণ্য  বেছে নেন। এখানে মার্কেটের পলিসি এবং আমাদের ডিজাইনারদের দায়-এই দুই জায়গাটা দেখার বিষয় আছে। বেশিরভাগ সময় যেটা হয়, আমাদের ট্রাডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণত বৈশাখে খুব মাতামাতি করি। ঈদ আসলে আবার আমরা সেগুলোকে একপেশে করে রাখি। আমরা ভাবি যে, মার্কেটে আমরা খুব ভালো জায়গায় অবস্থান করতে পারছি না। এই সময়ে আমরা আশপাশের পোশাককে অনেক বেশি প্লেস করি। সেটার কারণে ক্রেতারা অবধারিতভাবেই ওই পোশাকের দিকে ঝুঁকে যান। তাঁতের পোশাকগুলো আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকে, আবহাওয়া উপযোগী হয় আবার উৎসবের জন্যও একেবারে ঠিকঠাক।

আরো পড়ুন:

আমরা চেষ্টা করেছি শাড়ি আর ব্লাউজ মিলে যেন একটি প্রচ্ছদ হয়ে ওঠে। যেকোন একটি পেইটিং শাড়ি আর ব্লাউজের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এখানে শাড়ি ও ব্লাউজ একটি অন্যটির পরিপূরক।

ব্লাউজের ধারণা গত পাঁচ-সাত বছরে পাল্টে গেছে। আগে দেখা যেত, শাড়ির পাড় থেকে একটু রঙ নিয়ে, আঁচল থেকে একটু রঙ নিয়ে ব্লাউজ মিলিয়ে ফেলা হতো। এবং মনে করা হতো যে ব্লাউজ হচ্ছে অবজেক্ট।

অধুনা ফ্যাশনে শাড়ি ছাপিয়ে ব্লাউজে বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। যে কারণ কাটিংয়ে একটা ডমিনেশন এসেছে। সেক্ষেত্রে ব্লাউজের কাটটাই এমন হবে যে শাড়ি কেমন সেদিকে আর খেয়াল থাকবে না। ওই জায়গা ফোকাস করে লং ব্লাউজ, শর্ট ব্লাউজ তৈরি হচ্ছে। ব্লাউজ এখন অবজেক্ট না বরং সাবজেক্টিভ জায়গায় চলে এসেছে। আগে যেমন মনে করা হতো ব্লাউজ একটা ফিটেড প্রোডাক্ট হবে, এখন সেই ধারণা নেই। এটা এখন অনেক বেশি আরামদায়ক। কামিজ যেভাবে পরি, সেইটা একটা শর্টটার ভার্সন চলে  এসেছে। শার্টের একটা শর্টটার ভার্সন নিয়ে আসা হয়েছে ব্লাউজে। রুমাল ছাঁট হাতা, ঘটি হাতার ব্লাউজের ব্যবহার বেড়েছে। স্লিভলেস হলে পাইপিংয়ের ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্লাউজে পেছনের দিকটাতে অর্থাৎ পিঠের অংশে ভ্যালু অ্যাডিশন চলছে। বিভিন্ন ধরনের ব্লক, ছাপ দিয়ে পিঠের জায়গাটা হাইলাইটেড করা হচ্ছে। ব্লাউজ এখন শাড়ি বা জুয়েলারির মতো চলে এসেছে। যেখানে ব্লাউজটাকেও আরও নান্দনিক, আলঙ্কারিক করে তোলা হচ্ছে। 

লেখক: স্বত্বাধিকারি, মানাস

/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়